মদনে সেতু আছে ৭ টি : সড়ক অচল !

মদন প্রতিনিধি: নেত্রকোণার মদন উপজেলার মদন বৈশ্যবাড়ি থেকে ফতেপুর দেওয়ানবাড়ি পর্যন্ত ১০ কিলো এলজিইডি কাচাঁ সড়কের সংস্কার না করায় ৭টি ব্রিজ কাজে আসছে না। ফলে এ সড়কে অধিকাংশ লোক যাতায়ত বন্ধ রাখলেও কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থী ও লোকজন চড়ম দূভোর্গের মধ্যের যাতায়ত করতে হচ্ছে। এর মধ্যে মধ্যে ৬ কিলোমিটার রাস্তাই কাঁচা ভাঙাচোরা । পৌরসভার কিছু অংশ পাকা থাকলেও সেটিও ভাঙাচোরা। কোন যানবাহন চলার সুযোগ নেই এ সড়কে।
আকাশে মেঘ দেখলেই থেমে যায় শিশুদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া। দল বেঁধে বিদ্যালয়ে যেতে আসতে হয়। একা একা পায়ে হেটে বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পায় শিশুরা। বিকেল হওয়ার আগেই আসতে হয় গন্তব্যে। এ নিয়ে অভিভাবকরা থাকেন উদ্বিগ্ন। উপজেলার সদর থেকে ৫/৬ কিলোমিটার দূরে ফেকনি,মাধবপুর,বৈঠাখালী,বাধাগাতি গ্রামে কোন মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। যে কোন মূল্যে আসতে হয় তাদেও উপজেলা সদরে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের সময়েই আসেন এসব এলাকায় । পরে তাদের আর কোন দিন এলাকায় দেখা মেলে না। তাদের দুঃখের দূর্দশার কথা কেহ শোনেও না। নেত্রকোণার মদন উপজেলার পৌরসভাসহ মদন সদর ইউনিয়নেরফেকনি, বৈটাখালী ,তিয়শ্রী,বাদাতি পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য । এ রাস্তা দিয়ে এক সময় কয়েক হাজার লোকের যাতায়ত ছিল। এ রাস্তায় রয়েছে ৭টি ব্রিজ। এলাকাবাসী জানান,এ ব্রিজগুলো এখন আর কাজে আসছে না।
ভাঙাচোরা দশা ও খানাখন্দের কারণে রাস্তাটিতে যানবাহন চলাচল দূরের কথা পায়ে হেটেও চলাচল দূষ্কর হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, এ রাস্তায় প্রায় ৭টি ব্রিজ রয়েছে। ব্রিজ গুলোতে এপ্রোচ না থাকায় অকেজো অবস্থায় রয়েছে। গোটা রাস্তাাতেই অসংখ্য গর্ত রয়েছে।
ভূক্তভোগী ফেকনি গ্রামের তাইজুল ইসলাম মাষ্টার,সাকিল মিয়া,বৈঠাখালী গ্রামের জসিম উদ্দিন,রহিছ মিয়া,ইসলাম উদ্দিন জানান, কাচাঁ এ রাস্তাটি মূলত এলজিইডির। প্রায় ১৭/১৮ বছর যাবৎ কোন সংস্কার না করায় সড়কটির এ হাল হয়েছে। এতে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে ওই পথে বাইসাইকেল, ভ্যানরিকশা, মোটরসাইকেলে চলাচল করলেও সেগুলোও হরহামেশাই দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, আমাদের কোনো অভিভাবক নেই। কোনো নেতা নেই। আমাদের দেখার কোনো লোকই নেই। থাকলে এমন অবস্থায় এত দিন থাকতে হতো না। সড়কটা দেখার কেউ নেই। সেটা নিয়েও কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।
বিদ্যালয় গামী শিক্ষার্থী তন্নী,আশা মনি,মারিয়া আক্তার জানায়,আমরা প্রতিদিন ৫ কিলোমিটার হেঁটে যাই। বৃষ্টি হলে আর যেতে পারি না। বিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় বৃষ্টি হলে অনেক কষ্টে বাড়ি যেতে হয়। এতে মা বাবা চিন্তিত থাকেন। আমরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসতে পারি না। ইচ্ছা করলে বিদ্যালয়ে একা একা যেতে পারি না। একা আসলে মনের মধ্যে সব সময় ভয় থাকে। কখন বাড়ি আসব। আমরা চাই সরকার জরুরী ভিত্তিতে এ কাচাঁ সড়কটি পাকা করে দেয়া হোক।
মদন সদর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মানিক বলেন,আমার সদর ্ইউনিয়নে তিনটি গ্রামেই অবহেলিত। এ সব এলাকার মানুষ আরো বেশি অবহেলিত। রাস্তা থাকার পরেও তারা কষ্টে আছে। আগামী বৎসর অবশ্যই এ রাস্তার জন্য আমি বরাদ্দ দেব।
তিয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান ফকর উদ্দিন আহমেদ বলেন, বহু দিন যাবৎ সড়কটি সংস্কার না হওয়ার কারণে জনগণের যাতায়াত অযোগ্য হয়ে গেছে। আমার তিয়শ্রী ইউনিয়নে ৩টি ব্রিজ অকেজো অবস্থায় আছে এপ্রোচ মাটি না থাকার কারণে। আমি আশা করি আগামী অর্থ বৎসরে চলাচলের যোগ্য করার জন্য এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব।
উপজেলা প্রকৌশলী আমিনূল ইসলাম মৃদা বলেন, এ সড়কটি কয়েকটি ইউনিয়নের জনগণের যাতায়াতের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটিতে ৬ থেকে ৭ টি ব্রিজ রয়েছে। পাশাপাশি ব্রিজ গুলোর এপ্রোচের মাটি সড়ে গেছে। দীর্ঘদিন আগে রাস্তাটি হওয়াতে কোনো সংস্কার না করায় মেরামত করা জরুরী হয়ে পড়েছে ।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।