
দুর্গাপুর প্রতিনিধি: নেত্রকোণার দুর্গাপুরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়তে শুরু সোমেশ্বরী নদীর পানি। ভারতের মেঘালয়ে টানা বৃষ্টির কারণে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় বিরিশিরি ইউনিয়নের কানিয়াইল,শিরবির, ভুলিগাও, খালিশাপাড়, গাওকান্দিয়া গ্রামের জাগিরপাড়া, ভাদুয়া, শংকরপুর, হাতিমারা কান্দা, কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বাইরাউড়া, তাতিরকোনা, ডেউটুকোন, কৈলাটি এবং দুর্গাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী আদিবাসী গ্রাম গুলো নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের সড়ক গুলো নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী। স্থানীরাও ছুটছেন পাশবর্তী নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইন্দ্রপুর সহ আশপাশের প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার, বিরিশিরি মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, যেভাবে পানি আসছে এর আগে এমন ভাবে কখনোই পানি আসে নাই। আমাদের বাড়ি ঘর সবকিছুই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, ভাঙ্গন কবলিত ও প্লাবিত এলাকাগুলো পরিদর্শন শেষে বিরিশিরি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে ১৫০ পরিবারের মধ্যে ত্রান বিতরণ করা হয়েছে। প্লাবিত এলাকা গুলো চিন্তিত করে প্রয়োজনীয় ত্রানের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গাওকান্দিয়া ইউনিয়নে বণ্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ২‘শত পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মাঝে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে ভাদুয়া সর: প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারের মাঝে ১০ কেজি চাউল, ২ কেজি চিড়া, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার ভোজ্য তৈল ও ১ কেজি চিনি সহ শুকনা খাবার এর প্যাকেট প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা তালুকদার, ইউএনও ফারজানা খানম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, একাডেমিক সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন, ইউ,পি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোতালেব প্রমুখ।