নেত্রকোণার কংস বিপদসীমার ১৩০ ও সোমেশ্বরী ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় বারের মত বাড়তে শুরু করেছে নেত্রকোণার দুর্গাপুর কলমাকান্দাসহ সকল নদীর পানি। এই দিকে সকাল থেকে বাড়তে শুরু করে সোমেশ্বরীর পানি। নদীর দুই তীর ভরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে সোমেশ্বরী। স্থানীয়রা বলছে ভারতের মেঘালয়ের টানা বৃষ্টি কারণে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে নদীর পানি। উজানে আবহাওয়া এখনো খারাপ থাকায় পানি বৃদ্ধি অবহৃত থাকতে পারে। ফলে নিম্ন অঞ্চল প্রবাহিত হওয়ার সম্ভবনা আছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, টানা কয়েক দিন বৃষ্টিতে দ্বিতীয় দফায় বাড়তে শুরু করেছে সোমেশ্বরী পানি। উজানে ভারী বৃষ্টি কারণে সকাল থেকেই নতুন করে সোমেশ্বরীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে । বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দুর্গাপুরের বিরিশিরি পয়েন্টের পানির গেজ রিডার নাঈম আহমেদ জানান, সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার এবং জারিয়া এলাকার পানির গেজ রিডার আলমগীর হোসেন জানান, কংস নদের জারিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে পানি বাড়ায় দুর্গাপুর- শিবগঞ্জ, বিরিশিরি-শিবগঞ্জ, ফারাংপাড়া-কামারখালী, চৈতাটি- গাঁওকান্দিয়া ঘাটে নদীতে স্রোতে থাকায় নৌকা নিয়ে মানুষ পাড়ে বেগ পেতে হচ্ছে। অনেকেই জীবনের ঝুকি নিয়ে ভর নদীতে ইঞ্জিল চালিত নৌকা দিয়ে পারাপার হতে দেখা গেচ্ছে। তাছাড়া পৌরসভার শিবগঞ্জ-ডাকুমারা, কুল্লাউড়া ইউনিয়নের কামারখালী এলাকায় নদীতে বেরিবাঁধা না থাকায় কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী ভাঙ্গনের আতংকে রয়েছে স্থানীয়রা। নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জানায়, নদীতে যে ভাবে পানি বাড়ছে এর ফলে বন্যার আশংকা রয়েছে। আমাদের এখনো বাড়ী ঘরে পানি না উঠলেও পানি বাড়ছে তাতে করে বাড়ি ঘরে পানি উঠতে বেশি সময় লাগবেনা। এই দিকে দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ মহাসড়কের ঝুকিপূণ অংশ ইন্দ্রপুরের সরু কালভার্টের নিচ দিয়ে বেড়েছে পানি প্রবাহের গতি। ফলে নতুন করে আবারো ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে সড়কটি। তবে ভাঙ্গন রোধে বালুবস্তা দিওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, ঢলের পানি মোকাবেলায় উপজেলার সকল দপ্তরকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গুলোও চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছি ।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।