কলমাকান্দায় পাহাড়ী ঢলে ৩০ গ্রাম প্লাবিত দুর্গত অঞ্চলে সাংসদের শুকনো খাবার বিতরণ

কলমাকান্দা প্রতিনিধি : গত তিন দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তী রংছাতি, খারনই, লেংগুড়া ও নাজিরপুর ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব অঞ্চলের প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার বিকালে লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের উদাপাড়া গ্রামে গনেশ^রী নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন। নিহত হান্নান মিয়া কলমাকান্দার লেংগুরা ইউনিয়নের চৈতা গ্রামের আহমেদ মিয়ার ছেলে। গত বৃহস্পতিবার সকালে গনেশ^রী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এ বন্যার পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ৩৬ ঘন্টা পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত হান্নান মৃগী রোগী ছিল বলে জানান তার পরিবার।

এ বন্যায় রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। আউশ ধানের বীজতলা পানির নিচে। পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়ে পড়েছে। দিশেহারা মানুষ।

খবর পেয়ে নেত্রকোণা-১ আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদার পাহাড়ী ঢলে প্লাবিত অঞ্চল ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ ৪টি ইউনিয়নের দুর্গত মানুষদের মাঝে ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেন। শুকনো খাবার শেষে শুক্রবার বিকালে কলমাকান্দা প্রেসক্লাবে এসে স্থানীয় সাংবাদকিদের কাছে পাহাড়ী ঢলে প্লাবিত অঞ্চলের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন আমি দুর্গত মানুষদের পাশে আছি. থাকব। পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিধ্বস্থ রাস্তা মেরামত করা হবে। বিধ্বস্থ ঘরবাড়ি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে। অতি ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীদের সহযোগিতা করব। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কৃষি পুনঃবার্সনে আমরা কর্মসূচী গ্রহণ করব। এদিকে উব্দখালী নদীর পানি ক্রমশ বাড়ছে। বড়খাপন, পোগলা ও সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অপরদিকে কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল খালেক তালুকদার ও ইউএনও মো. জাকির হোসেন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।

বন্যায় ওই সব ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ইতিমধ্যে ১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।