মদনে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে শিক্ষার্থীর পড়াশুনার দায়িত্ব নিলেন প্রধান শিক্ষক

মদন প্রতিনিধি: নেত্রকোণার মদনে ক্ষুদ্রে এক শিক্ষার্থী নিজেই বাল্য বিয়ে ঠেকালো তার সহপাঠিদের সহযোগিতায়। সে উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর টি আমিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহ শহরে ওই ছাত্রীর সাথে মদন পৌরসভার মামুদপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে পাপ্পুর (২৫) সাথে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।
অভিভাবদের কাছে বিয়ের কথা শোনে সোমবার বিকালে প্রাইভেটের কথা বলে ওই শিক্ষার্থী বাসা থেকে বের হয়। পরে বিষয়টি সহপাঠিদের সাথে বললে সহপাঠিসহ ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আনোয়ারা জেবুন্নাহারের বাসায় গিয়ে বিয়ের বিষয়টি খুলে বলে।
পরে ওই প্রধান শিক্ষক স্থানীয় প্রশাসনের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করেন। প্রশাসনের পরামর্শক্রমে প্রধান শিক্ষক দু’পক্ষের অভিভাবককে তার বাসায় ডেকে আনেন। উভয় পক্ষকে বাল্য বিয়ের সুফল-কুফল সর্ম্পকে অবগত করলে সোমবার রাতেই বাল্য বিয়ে না দিতে দু’পক্ষের মুসলেখা নেন। এতে বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়। প্রধান শিক্ষক হতদরিদ্র এ শিক্ষার্থীর লেখাপড়াসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করার ও প্রতিশ্রুতিও দেন। এ সময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ রানা, প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আল-আমিন তালুকদার, শিক্ষক ওমর শরীফসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীরপুর টি আমিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা জেবুন্নাহার জানান, সোমবার বিকালে ওই মেয়েসহ তার সহপাঠিরা আমার বাসায় আসে। তারা আমাকে বিয়ের সম্পর্কে অবগত করলে আমি স্থানীয় প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করি। পরে দু’পক্ষের মুসালেখা নিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেই এবং ওই শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার খরচসহ যাবতীয় দায়দ্বায়িত্ব আমি বহন করি।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।