কেন্দুয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৪০ আটক ১৭

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতজন নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওপাড়া দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন ও কৃষি শ্রমিক হাছু মিয়ার লোকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এদিকে সংঘর্ষের পর আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেও এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর হামলা চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন একই গ্রামের ধান কাটার দলের প্রধান হাছু মিয়াকে তার জমির বোর ধান কেটে দিতে বলেন। কিন্তু হাছু মিয়া ধান কেটে দেননি। পরে অবশ্য অন্য লোকজন দিয়ে ধান কাটানো হয়। গত সোমবার সন্ধ্যায় মহিউদ্দিন হাছু মিয়াকে দুর্গাপুর মোড়ে পেয়ে ধান কেটে না দেয়ার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগ্িিবতন্ডার এক পর্যায়ে মহিউদ্দিন হাছু মিয়াকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেন একই সঙ্গে তাঁকে দুর্গাপুর মোড়ের বাজারে আসতে নিষেধ করেন। কিন্তুমঙ্গলবার সকালের দিকে একই গ্রামের নজরুল মিয়া নামে এক ব্যক্তির সহায়তায় হাছু মিয়া দুর্গাপুর মোড়ে এলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত আব্দুল মজিদ, আব্দুস সালাম, নুরুল আমিন, রাব্বা গণি, হাবিবুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম, আয়নাল হোসেন, গোলাম রব্বানী, নুরুল আমিন, দুলাল মিয়া, খায়রুল ইসলাম, অনু মিয়া, জুনাইদ মিয়া, সোমা, খায়রুল ইসলাম, সুমন ও জুনাইদ আহমেদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকিরা নেত্রকোণা সদর ও কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর উভয়পক্ষের আহতদের কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও হাছু মিয়ার লোকজন ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহিউদ্দিনের লোকজনকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় হাসপাতালের রোগী, নার্সসহ লোকজন ভয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। খবর পেয়ে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া সার্কেল) মাহমুদুল হাসান ও কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

 

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।