কেন্দুয়ায় গণধর্ষণ মামলার তিন আসামী গ্রেফতার

কেন্দুয়া প্রতিনিধি: ঈদে নিজ বাড়ি বেড়াতে এসে কথিত প্রেমিকের সাথে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হওয়া গামেন্টর্স কর্মীর ধর্ষণ মামলায় ধর্ষক টিপু মিয়া (২৩), আনোয়ার (২৪) ও আমির হাম্জাকে (২৫) গ্রেফতার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাশেদুজ্জামান জানান, ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ভিকটিমকে সাথে কথা বলেন। এর পরপরই পুলিশ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্তে নামে। তদন্ত কালে টিপু মিয়া, আনোয়ার ও আমির হামজার নাম নাম বেরিয়ে আসে।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শুক্রবার রাতে গুগবাজার এলাকা থেকে ধর্ষক টিপু মিয়াকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার বিকাল ৩টার দিকে ধর্ষক আনোয়ার ও আমির হামজাকে একই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা আরো জানান, গামেন্টস কর্মীর কথিত প্রেমিকের নাম সুমন নয়। তার প্রকৃত নাম নুরে আলম। তার গ্রামের বাড়ী মদন উপজেলার জাওলা গ্রামে। তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। কথিত প্রেমিক সুমন ওরফে নুরে আলমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, কেন্দুয়া উপজেলার মাস্কা গ্রামের উক্ত নারী গামেন্টর্স কর্মী সাথে পাশ^বর্তী মদন উপজেলার জাওলা গ্রামের সুমন নামে এক পুরুষ গামেন্টর্স কর্মী গাজীপুরস্থ একটি সোয়েটার কোম্পানিতে একসাথে চাকুরী করে আসছিল। তারা দুজনেই বিবাহিত হওয়ার পরও একই জেলার সুবাদে তাদের সাথে পরিচয় ও সখ্যতা গড়ে উঠে। ঈদের ছুটিতে তারা দুজনই নিজ নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসে। ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার বিকালে সুমন জাওলা থেকে মোটর সাইকেলে মাস্কায় এসে নারী গামেন্টর্সকর্মীকে তাদের বাড়ীতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তুলে নেয়। মোটর সাইকেলে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে সন্ধ্যার পর গুগবাজার এলাকার শাপলা ইট খলার সামনে এসে গাড়ী নষ্ট হয়ে গেছে বলে নারী গামেন্টর্স কর্মীকে গাড়ী থেকে নামতে বলে। সে গাড়ী টিক করার কথা বলে কাকে যেনো মোবাইল করে। এ সময় ইটখলার ভেতর থেকে তিন যুবক এসে সুমন ও নারী গামেন্টর্সকর্মীকে ইটখলার ভেতরে নিয়ে গিয়ে সুমনের হাত বেঁধে নারী কর্মীকে তিন যুবক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটিকে একা ফেলে রেখে ওই তিন যুবকসহ সুমনও মোটর সাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উধাও হয়ে যায়।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।