নাটোরের কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট

নাটোর প্রতিনিধি: অবশেষে নাটোর জেলার ৫টি উপজেলার অভ্যন্তরে আবাদি কৃষি জমিতে তাৎক্ষনিকভাবে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নাটোর জেলার সর্বত্র আবাদি কৃষি জমিতে চলছে অবৈধ পুকুর খননের মহোৎসব। মাটির ব্যবসায়ী, ইট ভাটা ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে কৃষক পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে যাচ্ছে। এতে করে ব্যপক হারে কমছে আবাদি কৃষি জমির পরিমাণ। শেষ পর্যন্ত রবিবার সংশ্লিষ্ট বিবাদীগণের প্রতি রুলনীতি জারী করতঃ মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চ নাটোর জেলার ৫টি উপজেলায় আবাদি কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে তদারকি এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।
জানা যায়, ঢাকাস্থ ‘ল’ইয়ার্স সোসাইটি ফর ল’ নামক একটি মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠনের পক্ষে মহাসচিব অ্যাড. মেজবাহুল ইসলাম আতিক বাংলাদেশ সুপ্রম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন। পরে রবিবার মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিবাদীগণের প্রতি রুলনীশি জারী করতঃ নাটোর জেলার নাটোর সদর, নলডাঙ্গা, সিংড়া, বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর এই পাঁচ উপজেলায় কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে তদারকি এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। রীট শুনানীতে সহযোগিতা করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি জালাল উদ্দিন উজ্জল। রীটটিতে ভুমি মন্ত্রনালয়ের সচিব, নাটোরের জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট ৫ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, এসি ল্যান্ডগণ, ৫ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে বিবাদী করা হয়েছে। এ নির্দেশ অমান্য করে কেউ কৃষি জমিতে পুকুর খনন করলে তাদের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট অবমাননার মামলা করা যাবে। উল্লেখ্য, আবাদি কৃষি জমিতে ব্যাপকহারে অবৈধভাবে পুকুর খননের ফলে নাটোরে রেকর্ড পরিমাণ আবদি কৃষির জমির পরিমাণ কমেছে। এছাড়া, একই কারনে রাস্তাঘাট নষ্ট হওয়াসহ ধুলোবালিতে সাধারণ জনগণ মারাত্বকভাবে স্বাস্থ্যঝুকিতে রয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।