অসুস্থ্য শিশু মোস্তাকিমের পাশে কেন্দুয়ার কল্যাণী ফাউন্ডেশন

কেন্দুয়া প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরে কিডনী রোগে অসুস্থ্য নেত্রকোণায় হতদরিদ্র পরিবারের আড়াই বছর বয়সের শিশু মোস্তাকিমের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে শিশুটির পাশে দাঁড়িয়েছে কল্যাণী ফাউন্ডেশন নামে স্বেচ্ছাসেবী ও মানব কল্যাণে নিবেদিত একটি সংগঠন।
শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় কল্যাণী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কল্যাণী হাসান তার কেন্দুয়া বাজারের মা জুয়েলার্স নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শিশু মোস্তাকিমের মা কাজল আক্তার ও শিশুটির মামা শফিকুল ইসলামের হাতে চিকিৎসা সহায়তা বাবদ নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন।
এ সময় অসুস্থ্য শিশু মোস্তাকিমের মা কাজল আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নেত্রকোণা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া গ্রামে তাদের বাড়ি। শিশু মোস্তাকিমের পিতা ইমন মিয়া একজন চা বিক্রেতা। জন্মের পর থেকেই মোস্তাকিম বিভিন্ন রোগে ভুগছে। প্রথমে তার মূত্রনালীতে রোগ ধরা পরে। অপারেশন করে সে রোগ সারলেও দেখা কিডনী রোগ। মোস্তাকিমের দুটি কিডনীরই অপারেশন করাতে হবে। সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ইমন মিয়া ও কাজল আক্তার দম্পতির সহায়-সম্পদ বলতে যা ছিল- তা সবই ব্যয় করেছেন। শিশু মোস্তাকিমকে সুস্থ্য করতে হলে তার আরো একটি কিডনীর অপারেশন করাতে হবে। আর এ জন্য প্রায় লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। তাই শিশুটিকে বাঁচাতে পিতা-মাতা এখন মানুষের কাছে হাত পেতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
কাজল আক্তার আরো বলেন, মোস্তাকিমের চিকিৎসার জন্য কেন্দুয়ার কল্যাণী ফাউন্ডেশনসহ অনেকেই সহযোগিতা করেছেন। এরইমধ্যে ৫০/৬০ হাজার টাকা সহযোগিতা পেয়েছেন। আর ৪০/৫০ হাজার টাকা হলেই তার শিশুসন্তান মোস্তাকিমের কিডনীর অপারেশন করাতে পারবেন। শিশু মোস্তাকিমকে বাঁচানোর জন্য টাকা দিয়ে যারা সহযোগিতা করেছেন। তিনি তাদের কাছে চিরঋণী বলেও জানান।
এদিকে কল্যাণী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কল্যাণী হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সমাজের অবহেলিত, নির্যাতিত, সুবিধা বঞ্চিত শিশু, নারী ও পুরুষের সেবা করার লক্ষ্যেই শুরু থেকে কাজ করে যাচ্ছে কল্যাণী ফাউন্ডেশন। মানবসেবায় এগিয়ে যাওয়াই এ ফাউন্ডেশনের ব্রত। কারো সেবায় বা সহযোগিতায় জড়িত হতে পারলে আমরা আত্মতৃপ্তি পাই।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।