কেন্দুয়ার হেলালের স্বপ্ন পূরণ হলো না

বিশেষ প্রতিনিধি: বহু স্বপ্ন নিয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোণা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে হেলাল মিয়া (৩৩)। আশা ছিল অভাব-অনটনের সংসারে কিছুটা সচ্ছলতা আনবেন। কিন্তু হেলালের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই রয়ে গেল। স্বপ্ন পূরণের আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি।
শনিবার (৬ এপ্রিল) মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হেলাল। বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে হেলালের মরদেহ দেশে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
নিহত হেলালের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে ধারদেনা করে মালয়েশিয়ায় যান হেলাল মিয়া। সেখানে গিয়ে শ্রমিকের কাজ পান তিনি। কয়েকদিন আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মোবাইল ফোনে মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে হেলাল মিয়ার মরদেহ মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশের হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
মরদেহটি বুঝে নেওয়ার জন্য হেলালের বড় ভাই রিটন মিয়া ও একই গ্রামের বাসিন্দা সোহেল আহমেদসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
হেলালের বড় ভাই রিটন মিয়া জানান, তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে হেলাল সবার ছোট ছিল। বিদেশে গিয়ে প্রায় লাখ খানেক টাকাও পাঠিয়েছিল। এরপর এখনও লাখ দেড়েক টাকার ঋণ রয়ে গেছে। তাই এখন কীভাবে যে কী করব তা বুঝে ওঠবার পারতাছিনা।
হেলালের গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শহীদুল হক সবুজ বলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিল হেলাল। অনেক আশা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে বিদেশে পাঠিয়েছিল। তার মৃত্যুতে সব আশা এখন মাটি হয়ে গেছে। এ অবস্থায় মানবিক দিক বিবেচনা করে এখন সরকারিভাবে কিছু আর্থিক সহায়তা পেলে হেলালের পরিবারটির অনেক উপকার হতো।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।