
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ:
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে ছুটে আসছিলো হাজার হাজার মানুষ। সবার মুখে একটাই স্লোগান নৌকা..নৌকা। কারও হাতে বৈঠা, কেউবা ভ্যানে করে নিয়ে এসেছেন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতীক নৌকা। সবার গন্তব্য ত্রিশালের নজরুল ডিগ্রী কলেজ মাঠ।
রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেনকে বিজয়ী করতে আয়োজিত কর্মী সমাবেশের দৃশ্যপট ছিলো এমনি৷ অতিথিরা মঞ্চে আসার আগেই কাঁনায় কাঁনায় পূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশস্থল৷
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন থেকে দলে দলে সেখানে নেতাকর্মীরা একত্রিত হন। এ সময় কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থবির হয়ে পড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস চলাচল। সমাবেশস্থলে তিল ধারণের ঠাঁই না থাকায় মূলত দলীয় নেতাকর্মীরা সামনের ওভার ব্রিজ এবং মহাসড়কের বাইরে অবস্থান নেন।
সমাবেশ আসা মুনতাছির নামে এক যুবক বলেন, ত্রিশালের মানুষ নৌকা পাগল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সকল নির্বাচনেই যার হাতেই নৌকা তুলে দিয়েছেন তাকে বিজয়ী করতে ত্রিশালের মানুষ সবসময় সচেষ্ট ছিলো, আগামীতেও থাকবে। নেতারা বেইমানী করলেও নৌকার সাথে কর্মী ও আওয়ামী পাগল ভোটাররা কোনদিন বেইমানী করেত পারে না। আজকেই এই জনসমুদ্রই তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তেব রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডেভোকেট মোয়াজ্জম হোসেন বাবুল।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন বলে উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠিনক ব্যবস্থা নেওয়ার কঠোর হুঁশিয়ারী দেন তিনি।
মতিন সরকারের বার বার আদর্শ বদলানোর কড়া সমালোচনা করে অ্যাডেভোকেট মোয়াজ্জম হোসেন বাবুল বলেন, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল তাকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়ে বলেন, ‘মতিন সরকারের ইতিহাস আমরা জানি। তিনি ছাত্রলীগ থেকে নজরুল কলেজের ভিপি হয়েছিলেন। এরপর বিএনপি, জাতীয় পার্টি আবার আওয়ামী লীগ করেছেন। এরপর আবার বিরোধীতা করেছেন আওয়ামী লীগের।এটা কোন নতুন বিষয় নয়।’
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম.এ কদ্দুস, কাজী আজাদ জাহান শামীম, শওকত জাহান মুকুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান মাহমুদ প্রমুখ।
সমাবেশে নৌকার প্রার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি গত ৭ বছরে ত্রিশালের প্রায় তিন হাজার মসজিদ-মাদরাসা ও এতিমখানায় রেকর্ড সহায়তা করেছি। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে আমি চেয়ারম্যানের ভাতাও আপনাদের মাঝে বিলিয়ে দিব। সেই সাথে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মডেল ত্রিশাল উপজেলা উপহার দেওয়ার অঙ্গিকার করেন তিনি।