শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা

বিশেষ প্রতিনিধি: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন আগামীর বিশ্ব হবে প্রযুক্তিনির্ভর। তিনি বলেন শুধরুমাত্র পাঠ্যবই বা গতানুগতিক সিলেবাস দিয়ে সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যাবে না। ইন্টারনেট পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্ঞান ভান্ডার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন ইন্টারনেটের সুফল কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। মন্ত্রী পরিবর্তিত পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে” শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় নেত্রকোণা” এর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর রফিক উল্লাহ খান এর সভাপতিত্বে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার কাজী নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালি। মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির।
মন্ত্রী বলেন,“জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীতে প্রথম মানুষ যিনি বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন। জাতির পিতার হাতে দেশটা স্বাধীন হয়েছে আর সারাবিশ্বে অনুসরণ করার মতো দেশটা তৈরি করেছেন তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।”জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্য অর্জনে তিনি নানামুখী কার্যক্রম হাতে নেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (ওঞট) সদস্য পদ লাভ করে।
স্বাধীনতার মাত্র তিন বছর পরেই তথ্য প্রযুক্তিখাতকে এগিয়ে নিতে ১৯৭৪ সালে তিনি রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় প্রথম ভূ-উপকেন্দ্র স্থাপন করে ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেন। যার সাহায্যে তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদানের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ তৈরি হয়।
তিনি বলেন ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের বাজেটে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের উপর থেকে শুল্ক ও কর প্রত্যাহার করেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইসতেহারে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ ২০২০ সালে মুজিব বর্ষ উদ্যাপন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জনগণের দোর-গোড়ায় তথ্যপ্রযুক্তির সুফল পৌছে দিতে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ কে ২০২১ সালে মধ্য আয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প-২০২১’ ‘রূপকল্প-২০৪১’, ও ২১০০ সালের বদ্বীপ মহাপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
এ সময় তিনি শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে ডিজিটাল ল্যাব, ফ্রি ইন্টারনেটসহ সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।