কলমাকান্দায় বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল দুই ছাত্রী

 বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কলমাকান্দায় উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের পৃথক দুইটি গ্রামে বুধবার বিকালে দুই ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করেছিল তাদের পরিবার। এর মধ্যে একজন অষ্টম শ্রেণির, অপর জন মাদ্রাসার ছাত্রী। দুই জনেরই বিয়ের প্রাপ্ত বয়স হয় নাই। ইনিসেফের ‘সামাজিক যোগাযোগ ও আচরণগত পরিবর্তন’ নামে প্রকল্পের এক সমন্বয়কারী বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান, সচিব ও উপজেলা প্রশাসনকে জানান। পরে তাদের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে ওই দুই ছাত্রী রক্ষা পায়। ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটি একই ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং অপরটি ছাত্রী মাদ্রায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। জন্ম সনদ অনুযায়ী তাদের একজনের বয়স ১৩ বছর ১০ মাস। আরেকজনের ১৩ বছর ৭ মাস। বুধবার বিকালে তাদের বিয়ের কথা ছিল। স্কুল ছাত্রীটির বর ছিলেন একই ইউনিয়নের কালাইকান্দি গ্রামের আরিফুল ইসলাম (২৪) ও মাদ্রার ছাত্রীটির বর ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকার রণি মিয়া (২৬)। খবর পেয়ে ইউনিসেফের ‘সামাজিক যোগাযোগ ও আচরণগত পরিবর্তন’ নামে একটি প্রকল্পের ইউনিয়ন সমন্বয়কারী মো. মামুন মিয়া ওই দিন সকালে ও বিকালে পৃথক দুই মেয়ের বাড়িতে যান। পরে পরিবারকে বোঝলে বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হয়নি। তাঁরা প্রথমে দাবি তোলেন মেয়েদের প্রাপ্ত বয়সের চেয়ে বেশি হয়েছে। এর প্রমাণ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম সনদ আছে। কিন্তু ওই সমন্বয়কারী জন্ম সনদ দেখতে চাইলে পরিবার দেখাতে পারেনি। বিষয়টি মামুন হাসান স্থানীয় চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন, সচিব সাফায়েত হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেনকে জানান। পরে তাদের হস্তক্ষেপে বিয়েটি বন্ধ হয়। ইউএনও মো. জাকির হোসেন জানান, ‘ওই ছাত্রী দুজনের পরিবারকে বাল্যবিয়ের কুফল সমন্ধে বুঝিয়ে পৃথক এই দুটি বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।