নৌকা মার্কার বিজয়ে বিভ্রান্তি ভুলে ঐক্যবদ্ধ হোন -অধ্যক্ষ গোলাম রসূল তালুকদার

স্টাফ রির্পোটার: নেত্রকোণা জেলায় প্রথম ধাপে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অধ্যক্ষ মো. গোলাম রসূল তালুকদার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তিনি সততা ও নিষ্টার সহিত ২০ বছর চন্দ্রনাথ ডিগ্রি কলেজ (প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ),নেত্রকোণা অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন।
অধ্যক্ষ মো. গোলাম রসূল তালুকদার জানান, ১৯৬৯ ইং সনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বারহাট্টা উপজেলা শাখার সদস্য নির্বাচিত হই এবং বারহাট্টা সি.কে.পি. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৭৫ ইং সনের পরবর্তীতে ১৯৭৭ ইং সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে এস.এম. হল শাখার ছাত্রলীগের সংগঠনিক সম্পাদক, তারপর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎসময়ের প্রতিটি কর্মসূচির সাথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। যার নেতৃত্বে ছিলেন, তদানিন্তন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সভাপতি বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক ও সেতু মন্ত্রী জনন্দিত জননেতা ওবায়দুল কাদের এমপি। আরো বলেন- বিগত সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। জেলা আওয়ামী লীগ তথা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহিত সিদ্ধান্ত সমূহ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছি। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলী উসমান তালুকদার ১৯৭১ ইং সনে মুক্তিযোদ্ধের প্রারম্ভে নেত্রকোণা জেলা সদরে ছাত্র ও যুবসমাজকে মুক্তিযোদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। পরবর্তীতে ভারতের মেঘালয়ে মহাদেও এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করেন এবং ভারতের তোরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাঙ্গালী প্রশিক্ষক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। প্রবীণ সংগঠক হিসেবে ১৯৭৫ ইং সনের পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ৫ বার জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করে জেলাবাসীর কাছে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় সংগঠক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। আমার পিতা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলী উসমান তালুকদার গ্রামের বাড়ির এলাকায় হাজীগঞ্জ বাজার, হাজীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ ও বারহাট্টা ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। পারিবারিক ভাবেই বারহাট্টা উপজেলা ব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি শায়িত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। এছাড়া আমার সহোদর চাচা অবসর প্রাপ্ত পিএসসি সচিব, অপর চাচা যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি তালুকদার যিনি ১৯৭১ ইং সনে সম্মুখ যুদ্ধে একটি পা হারান। তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নেত্রকোণা জেলা ইউনিটের একাধারে ২০ বছর সহ-সভাপতি, ডায়াবেটিক সমিতি সহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমার পরিবার ও সকল আত্মিয় স্বজন আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত। আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি মহোদয়ের পক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নৌকার বিজয় অর্জনে অবদান রেখেছি।
অধ্যক্ষ মো. গোলাম রসূল তালুকদার বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকাররে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ইশতেহারে ঘোষিত ‘‘গ্রাম কে শহর করার” প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সর্বদায় সচেষ্ট থাকবো বারহাট্টা উপজেলা-বাসীর জন্য। বারহাট্টা উপজেলায় শতভাগ শিক্ষা, চিকিৎসা, আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য এলাকার জনগনকে নিয়ে কাজ করবো। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন- দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে প্রিয় বারহাট্টা উপজেলাবাসী প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত দুর্নীতি রোধকল্পে জিরো ট্রলারেন্সের ঐক্যমতে পোষণ করে নৌকা প্রতীককে সমর্থন করবেন। সু-শিক্ষিত জাতির দ্বারা সম্ভব প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নত রাষ্ট্র, মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা এবং সজিব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলা গড়ার। সর্বশেষ আমি দাবি রাখি যে, উপজেলা আওয়ামী লীগ তথা তৃনমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের গুটিকয়েক নেতাকর্মী নৌকা বিজয়ে বিভ্রান্তি ভুলে বঙ্গবন্ধুর নৌকা, শেখ হাসিনার নৌকা, গণমানুষের নৌকার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হোন। বিএনপির ও জোটের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি- আপনারা প্রতীক বিবেচনা না করে বারহাট্টা উপজেলার উন্নয়ন ও আগামী প্রজন্ম সু-শিক্ষিত, সু-শৃঙ্খল ও শান্তির মনোরম পরিবেশে বসবাস যোগ্য উপজেলার কথা চিন্তা করে আমাকে সার্বিক সহযোগীতা করে নৌকার বিজয় সু-নিশ্চিত করবেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।