
কেন্দুয়া প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং বাজারের সরকারি জায়গা একসনা মোকদ্দমা মূলে বন্দোবস্ত নিয়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে চারতলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় পল্টনুজ্জামান পল্টন নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
বহুতল ওই ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদনও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ভবনের পয়ঃনিষ্কাশনের পাইপ বাজারের ড্রেনে উন্মুক্ত করে রাখায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চতুর্পাশে। এতে করে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা এবং দুতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে চারতলা ভবন নির্মাণ করায় যেকোনো মুহুর্তে ভবনটি ধ্বসে পড়ারও আশঙ্কা করছেন তারা।
এদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও উপজেলা ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পল্টনুজ্জামান পল্টন চিরাং বাজারের সরকারি ওই জায়গা নিজের নামে খারিজ করিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তাই বন্দোবস্ত মোকদ্দমা বাতিল পূর্বক জনস্বার্থে ভবনটি ভেঙে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে চিরাং বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষে স্থানীয় বাট্টা গ্রামের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, একসনা মোকদ্দমা মূলে চিথোলিয়া মৌজার চিরাং বাজারের ১নং খতিয়ানের ১৭৯৬ দাগের ৪০ বর্গমিটার ভূমি স্থানীয় বাট্টা গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে পল্টনুজ্জামান পল্টন ও তার স্ত্রী সাদিয়া জামান বন্দোবস্ত নেন। পরে ওই জায়গায় দোকানঘরের স্থলে নিয়ম বর্হিভূতভাবে দুতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে চারতলা একটি ভবন নির্মাণ করেন তিনি।
অভিযুক্ত ব্যবসায়ী পল্টনুজ্জামান পল্টনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের তার পক্ষে ওই জায়গার খারিজের কাগজপত্র দেখিয়ে বলেন, আমি আমার নিজস্ব জায়গায় ভবন নির্মাণ করেছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।