নেত্রকোণার রায়পুরে দেবোত্তর সম্পত্তির পুকুর দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের শ্রী শ্রী গোপীনাথ বিগ্রহ মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি বেদখলের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, রায়পুর গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীগন তাদের পূঁজা অর্চনা পালনের জন্য ১৯৩৭ সনে গ্রামে শ্রী শ্রী গোপীনাথ বিগ্রহ মন্দির নির্মাণ করে। একই গ্রামের জমিদার হরেন্দ্রনাথ মজুমদার রায়পুর মৌজায় ৪৬৬১ নং দেবোত্তর নামাপত্র দলিলমূলে ১৯৩৭ সনে ১৮ জুলাই ১২৬ নং আর এস, খতিয়ানের ৩৫২৫ দাগের ১.০৪ একর পুকুরসহ মন্দিরের সার্বিক পূজা কার্যক্রম পরিচালনার দেবতার নামে ১৮শত ৩৯ একর জমি দান করেন। এরপর থেকেই মন্দিরের সেবায়েতগন সেই জমি দেখ ভাল করে আসছিলেন। দেবোত্তর সম্পত্তির উৎপাদিত ফসল ও অন্যান্য আয় দিয়েই সারা বছর শ্রী শ্রী গোপীনাথ বিগ্রহ মন্দির এর বিভিন্ন পূঁজা/কীর্ত্তনের যাবতীয় খরচ বহন করা হয়ে আসছিল। বর্তমানে মন্দিরের সেবায়েত সুমন দত্ত মজুমদার দেবোত্তর সম্পত্তিগুলো দেখ ভাল করছেন। এত বিশাল দেবোত্তর সম্পত্তির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একটি প্রভাবশালী ভূমি দস্যু চক্রের। তারা বিভিন্ন কায়দায় এসব জমি বেদখলের পাঁয়তারা শুরু করে।
উক্ত মন্দিরের এস এ ৩৫২৫ দাগের ১.০৪ একর মন্দিরের পুকুর সহ অন্যান্য দাগের দেবোত্তর ভূমি ভুল ক্রমে ১ নং খতিয়ান ভূক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে মন্দিরের সেবায়েত বাদী হয়ে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, নেত্রকোণা আদালত হতে ৪৯৬২/১৫ নং মোকাদ্দমার ২৭/০৬/১৮ খ্রি. রায় ও ডিক্রি প্রাপ্ত হয়। মন্দিরের ভূল সংশোধন হওয়ার পর ও ভূয়া কাগজ পত্র দ্ধারা রায়পুর গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রামের ভূমি দসু্যু আব্দুুল মজিদ গং বিগত কিছুুদিন পূর্বে উক্ত পুকুরটি নিজের দাবী করে পুকুরে চারদিকে নেট দ্ধারা ঘিরে ফেলে। যা মন্দিরের সেবায়েত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারহাট্টাকে অবগত করেেল গত ৪/১১/১৮ খ্র্রিঃ তারিখ বারহাট্টা উপজেলা পরিষদ মিলায়তনে এক গনশুনানীর মাধ্যমে উক্ত পুকুরটি উন্মক্ত করে। উন্মক্ত করার রায়পুুরের সনাতন ধর্মাবল্মী লোকজন প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় শ্যামাপূজা উদযাপন করে এবং শ্যামা প্রতিমা বির্সজন করেন। কিছুদিন আগে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা হংস পদ্ম মঞ্চে পুকুুরে উদযাপন করেন। উক্ত পুকুরে রায়পুর, পাইকপাড়া, বারইতাতিয়র গ্রামের লোকজন গোসল ও গৃহস্থালির কাজ করে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সুুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন মোকাদ্দমায় সুস্পট রায় দিয়েছেন যে, একবার যে সম্পত্তি দেবোত্তর হিসাবে পরিগণিত হয়েছে বা হবে তা আদি অনন্তকাল পর্য়ন্ত দেবোত্তর সম্পত্তিই থাকবে, কখনই সেকুল্যার সম্পত্তি হিসাবে গন্য হবে না (৫১ ডি এল আর, হাইকোর্ট পৃঃ ৩০০)। ৬/৮/৮৪ইং সালের নম্বর সিমএটি৭২(২)/৮৪-৮৯(৭) রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে দেবোত্তর সম্পত্তি ইজারা দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এলাকার সনাতন লোকজন ধর্র্মীয় আচার ও গৃহস্থালির কাজ করছে। কিন্তু বারই তাতিয়রর নিবার্র্সী আব্দুল মজিদ গং পুুনরায় উক্ত পুকুরটি আবার অবৈধভাবে নিজ দখলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক এলাকায় শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।