নেত্রকোণায় নকল প্রসাধনী কারখানার সন্ধান : জরিমানা

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণা শহরে অভিযান চালিয়ে নকল প্রসাধনী তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে জেলা প্রশাসন। সেখান থেকে নামি দামি ব্র্যান্ডের মোড়কজাত নকল পণ্যসামগ্রী ও বিপুল কেমিক্যাল জব্দ করা হয়। এসব নকল পণ্য প্রতারণার মাধ্যমে অন্তত দুই কোটি টাকায় বিক্রি করা হতো। বুধবার  দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌরসভার নিখিলনাথ সড়কের পাটপট্টি এলাকার শান্ত সাহার বাসায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভবনটি সিলগালা করা হয় এবং ভবন মালিক ও কারখানার চার শ্রমিককে জরিমানা করা হয়। তবে এসময় নকল কারখানা মালিক শহরের নাগড়া এলাকার নুরু রহমান খান জাহিদীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে পরে জাহিদীর ভেজাল ব্যবসার পার্টনার এম. এ সেলিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেলিম ও জাহিদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুল ইসলাম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

এসময় ভবন মালিক শান্ত সাহাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে, কারখানার শ্রমিক মো. আমিরুল ইসলাম (২৫), মো. কাউসার মিয়া (২৬), মিজানুর রহমান (২৮) ও নিজাম উদ্দিনকে (২২) দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা না দিতে পারলে তাদের তিনদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া তথ্য মতে, দীর্ঘদিন ধরে শান্তর ভবনের ছয়টি রুম বেশি টাকায় ভাড়া নিয়ে নকল প্রসাধনী তৈরি করে আসছিলেন জাহিদী ও সেলিম। বুধবার দিনগত রাতে স্থানীয়দের কাছে এ খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে অভিযানে চালানো হয়।

তল্লাশি করে কারখানায় দেখা যায়, দেশিবিদেশি নামি দামি সব ব্র্যান্ডের মোড়ক ব্যবহার করে সাবান, শ্যাম্পু, তেল, লিপস্টিক, জেল, গ্লিসারিন, মেহেদি, আতর ও বডিস্প্রে তৈরি করা হচ্ছিল। আসল পণ্যের দামে বাজারের বিভিন্ন স্থানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাতে চলে যেতো নকল এসব পণ্য।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন- জেলা স্যানিটারি পরিদর্শক মো. আব্দুল হক, নেত্রকোণা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওয়াল সরদার, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর আল-আমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী চন্দন সরকার ও পুলিশ সদস্যরা।

 

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।