
বিশেষ প্রতিনিধি: কুচিরিপানা সংগ্রহ করতে গিয়ে নেত্রকোণায় নদী থেকে একজনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ পৌর শহরের ধারিয়া এলাকায় মগড়া নদী থেকে দেহটি উদ্ধার করে।
গলিত এই মৃতদেহটি নারী না পুরুষের তা এখনো সঠিকভাবে নির্ণয় করা যাচ্ছে না। তবে পুলিশের ধারণা এটি একজন নারীর মৃতদেহ হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে পৌর শহরের ধারিয়া এলাকার পাশে মগড়া নদীতে একজন নারী গরুর জন্য কুচুরিপানা কাটতে যান। তিনি কোমড় পানিতে নেমে কাচি দিয়ে কুচুরিপানা টানতে গেলে মানুষের গলিত একটি হাত সদৃশ দেখতে পান। এ সময় তিনি ভয়ে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে নদীর তীরে উঠে আসেন। বিষয়টি জেনে স্থানীয় লোকজন সন্ধানে নদীর পানিতে নামেন। তাঁরা মৃতদেহটি দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে নেত্রকোণার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েলের নেতৃত্বে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। উদ্ধারকৃত গলিত এই দেহটি নারী না পুরুষের তা সঠিকভাবে বোঝার উপায় নেই। মৃতদেহটি আনুমানিক মাস খানেকের মতো সময় ধরে পানিতে থাকায় শরীরর পচে একাকার হয়ে গেছে। মাথার চুলও ঝড়ে গেছে। লাশের সঙ্গে একটি শীতের পোশাক রয়েছে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে এটি একজন নারীর দেহ হতে পারে।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল জানান, ‘গলিত এই দেহটি দেখে নারী না পুরুষে তা বোঝার উপায় নেই। তবে আমাদের ধারণা এটি নারীর দেহ হতে পারে। মর্গের কর্মচারীরাও এমন ধারণা করছেন। ময়নাতদন্তের পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ‘
সদর থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা মেরে লাশটি নদীর পানিতে কুচুরিপানায় ডুবিয়ে রেখে যায়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে।’