
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের পর এবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও ভারতীয় মদের চালান সহ আবুল কাশেম (২৮) নামের এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার রাতে জব্দকৃত বিস্ফোরক ও মদ সহ ওই আসামীকে তাহিরপুর থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি। কাশেম উপজেলার বড়দল উওর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রজনী লাইন গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।’
প্রসঙ্গত: বিগত ২০১৮ সালের দিকে সিলেট সীমান্তে র্যাব ৯ একই জাতীয় একটি বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্যের চালান সহ কয়েকজন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছিল।
২৮-বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবির সুনামগঞ্জের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাকসুদুল আলম জানান, ব্যাটালিয়নের তাহিরপুরের টেকেরঘাট কোম্পানী হেডকোয়ার্টারের হাবিলদার নাজমুল হকের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল শুক্রবার সন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে সীমান্তের ওপার থেকে ফেরার পথে ৪’শ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে আবুল কাশেমকে আটক করে।
পরবর্তীতে তার সাথে থাকা ব্যাগ ও কার্টুন তল্লাশী করে বিজিবি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪৪ পিস ডেটোনেটর, ফিউজ , ৬২ পিস ক্যালভেক্স পাওয়ার জেল ও ১৫ বোতল ভারতীয় অফিসার্স চয়েজ মদ জব্দ করে।,
আটকের পর রাতেই আসামীকে তাহিরপুর থানায় সোপর্দ করার পর বিজিবির পক্ষ থেকে অস্ত্র ও মাদক দ্রব্যের সংশ্লিষ্ট ধারায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
বিজিবির অধিনায়ক আরো জানান, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদকের চালান সহ অস্ত্রকারবারী আটকের বিষয়টি পুলিশের পাশাপাশী রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেও অবহিত করা হয়েছে। আশা করি আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে এ বিস্ফোরক দ্রব্য কীভাবে কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং কাদের নিকট সরবরাহ করার কথা ছিল।
তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর জানান, আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে রাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, এ ধরণের বিস্ফোরক ব্যবসা ও সরবরাহের সাথে আরো কে কে জড়িত রয়েছে তা জানার জন্য পুলিশী চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান শুক্রবার রাতে জানান, বিস্ফোরক আটকের বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে, সেই সাথে আদালতে আসামীকে সোপর্দ করার পর পুলিশ তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানাবে।,