প্রতিমন্ত্রীর সমঝোতায় বিনা প্রতিদ্বদ্ধিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তফসির উদ্দিন খান

বিশেষ প্রতিনিধি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খানের মধ্যস্থতায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনা সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন অধ্যাপক তফসির উদ্দিন খান। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। ওই পদটিতে দুইজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। অপর প্রার্থী হলেন মো. আতাউর রহমান। তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কযালয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপের নেত্রকোণার নয়টি উপজেলায় আগামী ১০ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত নয়জন প্রার্থীসহ ৩০ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তফসির উদ্দিন খান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আতাউর রহমান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। কিন্তু আতাউর রহমান তাঁর মনোনয়নপত্র পত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় তাঁর বাস ভবনে দলীয় এক সভা করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতিকার উদ্দিন চৌধরী, দপ্তর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুন্নেছা আশরাফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মারুফ হাসান খান প্রমুখ। সভার শুরুতে দলীয় শৃঙ্খলা বোধের বিষয়টি তুলে ধরে এবং দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশকে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। তাঁর আহ্বানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মতি দেন।
এ জানতে চাইলে আতাউর রহমান বলেন, ‘তফসির উদ্দিন খান আমাদের সংগঠনের একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। দলীয় ভাবমূর্তি যাতে অক্ষুন্ন থাকে সেজন্য দলের সাধারণ সম্পাদক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খানের মধ্যস্ততায় দেরিতে হলেও দলের সিদ্ধান্তকে আমি মেনে নিয়েছি। আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেব।’
প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। এ দলটি সব সময়ই সুসংগঠিত। দলের প্রত্যেকেই দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে অনঢ। সভা নেত্রীর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েই আতাউর রহমান তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর এই সিদ্দান্তকে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই’।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।