
বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণা সদর উপজেলার সিংহেরবাংলা মহা-শশ্মানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।এলাকার হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের দু’টি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। জানা গেছে, সিংহেরবাংলা এলাকাবাসী ১৯১২ সাল থেকে রেলওয়ের জায়গায় অবিস্থত ৩৫ শতক ভূমি শশ্মানঘাট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু গত জোট সরকারের আমলে রেলের অস্থায়ী কর্মচারী শাহাজাহান ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে এই জায়গাটি ইজারা নেয়। পরে কিছু অংশ সিংহেরবাংলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক মঞ্জিল মিয়ার ভাইয়ের কাছে বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী গত বছর রেল মন্ত্রনালয়ের দ্বারা হলে রেল বিভাগ ওই সম্পত্তিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাশশ্মান হিসেবে ব্যবহারের লিখিত অনুমতি দেয়। পাশাপাশি রেল কর্তৃপক্ষ ওই সম্পত্তির ওপর নির্মিত দখলদারদের বেশ কিছু স্থাপনাও উচ্ছেদ করে দেয়। কিন্তু মঞ্জিল মিয়াসহ দখলদাররা এতেও ক্ষান্ত হননি। বারবার সম্পত্তিটি দখলে নেয়া চেষ্টা করে। উদ্ভুত পরিস্থিতির মুখে কিছুদিন আগে সদর থানা পুলিশ কয়েক দখলদারকে আটক করলে তারা ওই সম্পত্তিতে আর প্রবেশ করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়া পায়। শুক্রবার স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শশ্মান ঘাটের জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে মঞ্জিল মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এ সময় এলাকার মুসলমান সম্প্রদায়ের বেশ কিছু গণ্যামান্য ব্যক্তিও হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে অবস্থান নেন। ওদিকে মঞ্জিল মিয়ার লোকজন এসে তাদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করলে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে দুপক্ষকে শান্ত করেন। এ সময় পুলিশ বিষয়টি সমঝোতার করতে সোমবার উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করে। শশ্মান কমিটির সাধারণ সম্পাদক রূপন সরকার জানান, পুলিশ বলেছে ‘আমাদের কাগজপত্রের বৈধতা থাকলে তারা উপস্থিত থেকে আমাদের সীমানা প্রাচীর তৈরিতে সহায়তা করবে।’ সিংহেরবাংলা এলাকার মলয় সরকার জানান, বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে যে কোন সময় এখানে বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে।