নেত্রকোণায় ২৩তম খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন প্রাবন্ধিক রফিকউল্লাহ খান ও কবি মারুফুল ইসলাম

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় ‘খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯’ঘোষণা করা হয়েছে। এবার এই পুরস্কার পাচ্ছেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচায অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান এবং খ্যাতিমান কবি মারুফুল ইসলাম। নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজ ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিবছর পহেলা ফাগুনে একজন বরেণ্য লেখক, কবি, সাহিত্যিককে এ পুরস্কার দেয়। 

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি জানান, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি (পহেলা ফাল্গুন) শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরের বকুলতলায় ২৩তম ‘বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব ও খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার’প্রদান অনুষ্ঠান হবে। এ বছর প্রতিথযশা সাহিত্যিক রফিকুল্লাহ খান ও কবি মারুফুল ইসলামকে পুরস্কার প্রদান করা হবে। ওই দিন ফাল্গুনের প্রথম সকালে বকুলতলা প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা, সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন ও ভাষা শহীদসহ সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে উৎসব উদ্বোধন করা হবে। এরপর জেলা উদীচী পরিচালিত হায়দার-শেলী স্মৃতি সঙ্গীত বিদ্যানিকেতনের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হবে ‘বসন্ত বন্দনা। সকাল ১০টায় বের করা হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। এছাড়া দিনের বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হবে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বাঁশির সুর, তবলার লহরি, স্বরচিত কবিতা ও ছড়া পাঠ, গল্প পাঠ, সাহিত্য আড্ডা, নতুন প্রকাশিত বইয়ের পাঠ উন্মোচন, আলোচনা, খালকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার প্রদান শেষে নাচ, গান, আবৃত্তি ও বাউল গানের মধ্য দিয়ে উৎসবের শেষ হবে। নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসবে এর আগে ২৩ জন কবি-সাহিত্যিককে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হয়েছে। নেত্রকোনা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কবি সাহিত্যকরা প্রতিবছর এই উৎসবে যোগ দেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।