
বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে হিরণ কবির (১৯) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন স্বশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো দুই বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। প্রদত্ত জরিমানার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে মামলার বাদী মৃতকের পিতা প্রাপ্ত হবেন বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। হিরণ কবির কেন্দুয়ার রামনগর গ্রামের খোরশেদ উদ্দিনের ছেলে। বুধবার বিকেলে অতিরিক্ত দায়রা জজ আফিয়া বেগম এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহতের নাম এমদাদুল হক (২০)। তাঁর বাড়িও কেন্দুয়ার রামনগর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মো. আবুল মিয়ার ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কমলেশ কুমার চৌধুরী জানান, দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হিরণ কবির একই এলাকার এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই মেয়ের সঙ্গে পূর্বে থেকে এমদাদুল হকের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত ২০১১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি হিরণ কবির এমদাদুল হককে জুতা কেনার কথা বলে মোটর সাইকেলে কেন্দুয়া থেকে নেত্রকোণায় নিয়ে আসেন। পরে ওই দিন রাতে জুতা না কিনে বাড়ি ফেরার পথে নেত্রকোণা-কেন্দুয়া সড়কের রামপুর বাজারে একটি দোকানে উভয়েই নাস্তা করেন। এর পর রাত আটটা থেকে পর দিন ভোর সাড়ে চারটার মধ্যে যে কোন একসময় হিরণ এমদাদুলকে হত্যা করে ওই এলাকার তালেনেওয়াজ এর একটি ধান খেতে লাশ ফেলে রাখে। এ ঘটার পর দিন পরে নিহতের পিতা আবুল মিয়া বাদী হয়ে হিরু কবীর ও জেসমিন আক্তারসহ তিনজনকে আসামী করে ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ৩১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করে। আদালত আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার বিকেলে এই রায় দেন। আসামি পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন সাইদ ওয়াজিবুল হক, আনিসুর রহমান ও পূরবী কুন্ডু।