সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চান সালমা আক্তার ও আজেদা কানিজ

কেন্দুয়া প্রতিনিধি: সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চান নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার দুই নারীনেত্রী সালমা আক্তার ও আজেদা কানিজ। নারীনেত্রী সালমা আক্তার বর্তমানে নেত্রকোনা জেলা পরিষদের সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান-২)। এর আগে তিনি দুইবার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। চেয়ারম্যান হিসাবে বৃক্ষরোপণে অবদান রাখায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা পদক পেয়েছেন সালমা। কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ভূইয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার তৃণমূল থেকে উঠে আসা আওয়ামী লীগের একজন পরিচিত নেত্রী। তিনি কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আসছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হন সালমা। মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচনে কাজ করেছেন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে। সালমা আক্তার সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।
সালমা আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বিএনপি-জামাত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ত্যাগী নেতাকর্মীদের সব সময় মূল্যায়ন করেন। আমিও আশাবাদী নেত্রী আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আজেদা কানিজ সংরক্ষিত আসনে এমপি হওয়ার জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। আজেদা কানিজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হন। মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর তিনিও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে কাজ করেছেন। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের কাউরাট গ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল বাকীর স্ত্রী মুক্তিযোদ্ধার কন্যা নারীনেত্রী আজেদা কানিজ কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক কমিশনার, বাংলাদেশ কমিশনার এসোসিয়েশনের সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব ও কেন্দুয়া উপজেলা শিক্ষা কমিটির সাবেক সদস্যসহ বিভিন্ন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
আজেদা কানিজের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তৎকালীন সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঢাকা রাসেল স্কয়ারে যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা রহমানসহ পুলিশের কাছে আটক হয়েছিলাম। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় আসার পর সরকার দলীয় ক্যাডাররা আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং আমার স্বামীসহ পরিবারের লোকজনকে জননিরাপত্তা মামলার আসামী করে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার করে। আওয়ামী লীগের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি নেত্রী আমাকে মূল্যায়ন করবেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।