নেত্রকোণায় যোগাযোগ,সার ও খাদ্য সেক্টরে স্বস্তি ফিরেছে

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণা-২ ( সদর- বারহাট্রা) আসনের সংসদ সদস্য আশরাফ আলী খান খসরু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম নেত্রকোণায় আসেন গত ১৬ জানুয়ারি। ঢাকায় ফিরেন তিন দিন পর। এই সময়ের মধ্যে তিনি নেত্রকোণার বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। এরি মধ্যে যোগাযোগ, কৃষির সার ও খাদ্য সেক্টরে শৃংখলা ফিরাতে বিশেষ উদ্যোগ নেন।

বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরে সিএনজি চালিত অটো রিক্সা থেকে প্রত্যেকদিন রাস্থায় নামলেই নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিতে হত। এই চাঁদার টাকা চলে যেত নামধারী শ্রমিকদের পকেটে। শ্রমিকদের উন্নয়নে এখন প্রতি সিএনজি চালিত অটো রিক্সা থেকে ১০ টাকার বেশি চাঁদা না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চাঁদার এই টাকা সিরিয়ালে নিযুক্ত শ্রমিকদের দেয়া হবে। শহরের ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা থেকে নেয়া হত ১০ টাকা করে। এখন এই চাঁদাবাজিও বন্ধ হয়েছে। এখন থেকে প্রতি অটোরিক্সায় ৫ টাকা করে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই টাকার মধ্যে থেকে দেড়টাকা যাবে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে। বাকি টাকা অটোরিক্সা সিরিয়ালে নিযুক্ত শ্রমিকদের মাঝে দেয়া হবে। এছাড়া ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালকদের কাছ থেকে কোন চাঁদাবাজি না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নেত্রকোণা-আটপাড়া সড়কে লেগুনা থেকে চাঁদা তোলা হত ১০০ টাকা হারে। তা কমিয়ে করা হয়েছে ২০ টাকা। মাছের গাড়িতে চলতো অনির্ধারিত চাঁদাবাজি। এখন থেকে প্রতি মাছের গাড়িতে ৫০ টাকার বেশি আদায় করা যাবেনা। এই টাকাও কর্মরত শ্রমিকদেরকে দিয়ে দিতে হবে।

অপরদিকে সার নিয়েও চলে আসছিল নানা অনিয়ম। সেখানেও নিয়ম ফিরাতে প্রতিমন্ত্রী দিয়েছেন নির্দেশনা। কোন ডিলারকেই আর দিতে হবেনা অতিরিক্ত কোন টাকা। খাদ্য বিভাগেও নির্ধারিত বরাদ্দ মিলবে মিলারদের। এখানেও কোন ধরনের বিশৃংখলা না হয় সে জন্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য প্রতিমন্ত্রী।

এসব বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে যোগাযোগ সেক্টরে প্রতিমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী শৃংখলা ফিরতে শুরু করেছে। যানবাহন চালকেরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, নেত্রকোণায় কোনো সেক্টরেই চাঁদাবাজি চলতে দেয়া হবেনা। কোন রকম অনিয়ম, দুর্ণীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হবেনা। সবকিছুই চলতে হবে স্বাভাবিক নিয়মে। অনিয়ম-দুর্ণীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি চলবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।