কেন্দুয়ায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় বসতঘর পেল ২৯৮ পরিবার

কেন্দুয়া প্রতিনিধি: ‘ঘরের জাগা (জায়গা) ছিল। কিন্তু ঘর করার মতো সামর্থ্য ছিল না। সরকার দয়া করে আমরারে ঘর কইরা দিছে। এহন (এখন) নিজের ঘরে শুইতে পাইরে আমরা খুব খুশি। রোববার দুপুরে কথাগুলো বলছিলেন সদ্য সরকারি ঘর পাওয়া নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের সাগুলী গ্রামের রিকসা চালক হাদিস মিয়া। সরকারি সহায়তায় মাথা গোজার ঠাঁই হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও তাঁর জন্য দোয়াও করেন তিনি।
হাদিস মিয়ার মতো সরকারি ঘর পেয়েছেন কেন্দুয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ২৯৮টি গৃহহারা হতদরিদ্র পরিবার। গৃহহারা ওইসব পরিবারের সদস্যরা সরকারি ঘর পেয়ে প্রত্যেকই পুলকিত।
তবে এলাকার সচেতন মহলের লোকজন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, উপজেলায় এ রকম আরো অনেক গৃহহারা পরিবার রয়েছে। ধারাবাহিকভাবে গৃহহারা প্রত্যেকটি পরিবারকেই ঘর করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে এ গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি হলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হলেন সদস্য সচিব।
গৃহ নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে কেন্দুয়া উপজেলায় ‘জমি আছে ঘর নেই’ এমন ২৯৮টি পরিবারকে (প্রতি ঘরের বরাদ্দ ১ লাখ টাকা) ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। আমরা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে প্রত্যেকটি গৃহহারা পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। নতুন ঘর পেয়ে আনন্দিত ওইসব পরিবারের লোকজন।
এ ব্যাপারে গৃহ নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-ইমরান রুহুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর মূল লক্ষ্য হল একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না। আর এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দুয়া উপজেলায় ২৯৮টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। আমি গৃহ নির্মাণ কাজ ঘুরে ঘুরে দেখেছি। ঘর পেয়ে প্রতিটি পরিবারই প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সফলতা কামনা করেছেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।