নেত্রকোণার শ্রেষ্ট ইউএনও বারহাট্টার ফরিদা ইয়াসমিন

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণা জেলা সদর সংলগ্ন বারহাট্টা উপজেলা। আয়তন ২২১.৫০ বর্গ কিলোমিটার। মোট জনসংখ্যা প্রায় ১,৫৮,১৩৩ জন। কংস নদীকে ঘীরে উপজেলার অধিকাংশ জনপদ। গারো পাহাড়ের পাদদেশ। বারহাট্টা ১৯০৫ সালে থানা ও ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। নেত্রকোণা-বারহাট্টা নেত্রকোণা-২ আসনরে সংসদীয় আসন।
২৮তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার ফরিদা ইয়াসমিন ২০১৭ সালের ৯ মে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই বারহাট্টার সামাজিক ও প্রশাসনিক কাজ রাতদিন করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে বাল্যবিবাহ বন্ধে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে চলছেন। স্বশরীরে উপস্থিত থেকে তিনি ৩৭ টি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করে জেলায় আলোচনায় আছেন তিনি। জিরো টলারেন্স জারি করেন বাল্য বিবাহের বিরোদ্ধে। রুটিন অতিরিক্ত কর্ম সম্পাদন করে তিনি অল্পদিনেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচক সারা ফেলেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে গতি আনতে কাজ করছেন দিনরাত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুদের সাথে অন্তরঙ্গ পরিবেশে কাজ করার চিত্র আসতে থাকে একের পর এক। সামাজিকভাবে রাস্তা, ঘাট, ব্রীজ, কালবার্ট ইত্যাদি নির্মাণ কাজে নিয়মিত তদারকি করছেন ইউএনও ফরিদা ইয়াসমিন। সামাজিক বিবাদও মোকাবেলা করেছেন শক্ত হাতে। এসব কাজে শ্রেষ্ট ইউএনও’র স্বীকৃতি মিলল তাঁর। তিনি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৮ উপলক্ষে জেলার শ্রেষ্ট ইউএনও হিসেবে নির্বাচিত হন।
এ স্বীকৃতির ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন জানান, ‘এ স্বীকৃতি আমাকে কাজ করার ক্ষেত্রে আরও বেশি উৎসাহিত করবে। আমি জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
জেলা প্রশাসক মঈন-উল ইসলাম জানান, ‘উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষায় অসামান্য অবদান রাখা জন্য বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিনকে জেলার শ্রেষ্ট ইউএনও’র স্বীকৃতি দেয়া হয়।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।