রুহুল আমীন মাদানীকে ধর্মমন্ত্রী দেখতে চায় ত্রিশালের মানুষ

ময়মনসিংহে থেকে দেলোয়ার হোসেন: ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মহাজোট মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন মাদানী।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের ড. মাহাবুবুর রহমান লিটনকে তিনি ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩২৬ ভোটে পরাজিত করেন। তার এই বিজয়কে সততার অন্যন্য উদাহারণ হিসেবে দেখেছন ত্রিশালের মানুষ।
এতো বিশাল ভোটের জয়ের পর থেকে ত্রিশালবাসী মাদানিকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন। তাদের প্রত্যাশা সামনের মন্ত্রীপরিষদে সততা আর আদর্শের জন্য ধর্মমন্ত্রী হিসেবে যোগ্য লোক হবে রুহুল আমীন মাদানি। মদিনা থেকে পড়াশোনা শেষ করা মাদানী দেশে এসে সব সময় জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। এর আগের নির্বাচনে ১৯৯৬ সালে বিজয়ী হবার পর ত্রিশালবাসীর উন্নয়নে প্রতিটা জায়গায় অবদান রেখেছেন। স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করেছেন। ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন সড়ক পথের। শিল্পবাণিজ্য অঞ্চল হওয়ায় নতুন নতুন বিনিয়োগ সৃষ্টিতেও সহায়তা করেছেন মাদানী। যার ফলশ্রুতিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে দাড়ালে এলাকার দলমত নির্বিশেষে সকলেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন প্রিয় এই মানুষটিকে।
রহুল আমীন মাদানি সম্পর্কে বলতে গিয়ে ত্রিশাল পৌর মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান বলেন, বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে রহুল আমীন মাদানী সাহেব তার জনপ্রিয়তার স্বাক্ষর রেখেছেন। ত্রিশালের উন্নয়নের ধারাবাহিকা রক্ষা করার জন্যই সাধারণ জনগণ তাকে ভোট দিয়েছেন। তিনিও জনগণের নিবিদিত প্রাণ।
ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, ত্রিশাল সবসময়ই নৌকার ঘাটি। এইজন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার ওপরই আস্থা রেখেছিলেন।স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই প্রথম ত্রিশাল আসনে রুহুল আমিন মাদানী দ্বিতীয়বার এমপি নির্বাচিত হলেন,তাই জনগনের ভালোবাসায় আসনটি নেত্রীকে উপহার দিয়েছেন। এ আসনের সাধারন মানুষ উনাকে ধর্মমন্ত্রী হিসেবে চাচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করি নেত্রী এ বিষয়টিও বিবেচনা করবেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।