প্রার্থীর ছেলে প্রধান আসামী বিএনপির ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা : ৬১ রাউন্ড গুলি

মদন প্রতিনিধি: সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী নেত্রকোণা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী তাহমিনা জামানের ছেলে লাবীব (২৬) কে প্রধান আসামী করে ৪ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মদন থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।
শনিবার রাতে মদন থানার এস আই মমতাজ উদ্দিন,যুবলীগ নেতা ফয়সাল আহমেদ ও নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেন।
মামলা বিবরণে প্রকাশ, শনিবার রাতে উপজেলা বৈশ্যবাড়ি আওয়ামী লীগ গণসংযোগ কালে বিএনপি বিষ্ফোরক ঘটায়,নাশকতা সৃষ্টির লক্ষে অন্তর্ঘাত মূলক কর্মকান্ড ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র,বেআইনি ভাবে সরকারি কর্মচারী কাজে বাধা দেওয়ার এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ৬১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ১ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। ইট-পাটকেলের আঘাতে তিন পুলিশ সদস্য এসআই মমতাজ উদ্দিন, এ এস আই আনোয়ার হোসেন, কনস্টেবল রুস্তম আলী আহত হলে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এরই অপরাদে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ছেলে লাবীব ও এনামূলকে প্রধান আসামী করে ৪ শতাধিক নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪ শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীর নামে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে মদন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান শেখ মানিক, উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমান উল্লাহ সায়েম, বিএনপি নেতা রিয়াদ তালুকদার,সজিব, হোসাইন খান শান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ব্যপারে মদন উপজেলার বিএনপির সভাপতি নূরুল আলম জানান, শনিবার কাইটাইল থেকে প্রার্থীকে নিয়ে গণসংযোগ শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে বৈশ্যবাড়ি সড়কে পৌঁছলে পুলিশ আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষন ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। পরে নেতাকর্মীরা দিকবেদিক ছুটে চলে যায়। আমাদের প্রার্থী আত্মরক্ষার জন্য এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। দুই ঘন্টা পর উপজেলা প্রসাশন প্রার্থীকে তার নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন। দায়েরকৃত তিনটি মামলাই সাজানো।
এ ব্যাপারে ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান, শনিবার রাতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ গণসংযোগের সময় বৈশ্যবাড়ি সড়কে মুখোমুখি হলে সহিংসতা দেখা দেয়। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় ৬১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ১ রাউন্ড টিয়ারসেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এতে আমার তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে ৪ শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪ শতাধিককে আসামী করে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের পক্ষে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলার ৫ আসামীকে আটক করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।