
বিশেষ প্রতিনিধি: জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ এবং এলাকায় অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নেত্রকোণা জেলা কৃষকলীগের সদস্য একেএম মাসুদকে গত বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এঘটনায় নিহতের ভাই একেএম ফারুক রাসেল বাদি হয়ে ২০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হচ্ছেন শাজাহান তালুকদারের ছেলে ১. আজহারুল ইসলাম নয়ন ও ২.আরিফুল হাসান ৩. রফিকুল ইসলাম ৪. হুমায়ুন কবীর তালুকদার ৫. আজিজুল হক লিপটন ৬.বিপ্লব তালুকদার,৭. বিজয় তালুকদার ৮. মোঃ কাউসার তালুকদার ৯. রুহুল আমিন ১০.ইকবাল তালুকদার ১১.ফয়সল তালুকদার ১২. তৌফিক তালুকদার ১৩. মো: সাফায়েত ১৪. মোঃ মানিক মিয়া, ১৫. মোঃ লিমন তালুকদার ১৬. মোঃ মোশারফ মিয়া ১৭.রুমেল তালুকদার ১৮. শাজাহান তালুকদান ১৯. মোছাঃ সেলিনা আক্তার ও ২০. মোছাঃ স্বপ্না পারভীন।
মামলার বিবরণে জানা জানায়, নেত্রকোণা সদরের বালুয়াখালি গ্রামের বাসিন্দা ও জেলা কৃষকলীগের সদস্য একেএম মাসুদকে নেত্রকোণা শহরের রাজুরবাজার এলাকায় তার চেম্বারে ঢুুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। এসময় মাসুদ চেম্বারের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী রতনের ভাড়া দেওয়া ঘরে গিয়ে জীবন বাঁচতে চায়। সেখানে গিয়েও বালুয়াখালি গ্রামের নয়নের নেতৃত্বে ওমর ফারুকের ছেলে মোঃ সাফায়েত (২৮) একই গ্রামের মৃত স¤্রাট তালুকদারের ছেলে মোঃ কাউসার তালুকদার (২৭ রিয়াদ,শাজাহান তালুকদারসহ আসামীরা রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর মামলার আসামীরা একই গ্রামের লিপটনের পুকুরে হত্যার কাজে ব্যবহৃত রামদা গুলি ফেলে দেয়।
পুলিশ আরো জানায়, এই খুনের ঘটনার পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) (প্রশাসন) মোঃ আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান চালিয়ে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা থেকে মোঃ সাফায়েত (২৮) একই মোঃ কাউসার তালুকদার (২৭) পুলিশের চৌকুস টিম গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক লিপটনের পুকুর থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত আটটি রামদা উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) (প্রশাসন) মোঃ আশরাফুল আলম জানান, একই দিনে নেত্রকোণা জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হন। ঘটনার পর পরই স্থানীয়দের সহযোগীতায় ওই আসামীকে ধরতে সক্ষম হই। মাসুদ হত্যার ঘটনায়ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করি। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আসামীরা আদালতেও হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। বাকি আসামীদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি। অপরাধি যেই হোক আইনের হাত থেকে কেউই রেহাই পাবেনা। যেকোনো ঘটনার সংবাদ পুলিশকে জানালে তাৎক্ষনিক পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।