ত্রিশালে রওশন এরশাদকে প্রার্থী করলে, দুপুরেই জিতে যাবে বিএনপি!

মো: দেলোয়ার হোসেন,ময়মনসিংহ থেকে: ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। আসনটিতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন মাদানী। ইতিমধ্যে মাদানীকে আওয়ামীলীগ থেকে দেয়া হয়েছে দলীয় মনোনয়ন। জাতীয় পার্টিকে চুল পরিচান ছাড় দিতে নারাজ নয় ত্রিশালের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ স্থানীয়রা।

তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, বহিরাগত কোন লোক এ আসন থেকে প্রার্থী হলে, তারা ত্রিশাল উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের নামেই ভালো করে বলতে পারবে না। সেখানে এলাকার উন্নয়ন করবে কিভাবে। ত্রিশালবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে এলাকার যেকোন যোগ্য লোককে প্রার্থী করা হোক নৌকা প্রতীকে।

মানুষও তাদের সুখ দুখের কথা জনপ্রতিনিধিকে সহজেই তাহলে বলতে পারবে, কাছে পাবে তাকে। তাই, এমন প্রার্থী নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান তারা। ভোটাররা বলছেন, এলাকার লোক প্রার্থী হলে, তাদের জন্য সুবিধে হয়। যখন তখন এমপির কাছে যেতে পারবেন তারা। তাই, এলাকার উন্নয়নে কাজ করবে, এমন প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার কথা বলছেন ভোটাররা।

মহাজোট প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি রুহুল আমীন মাদানীকে মনোনয়ন দেওয়ার পর জাতীয় পার্টিও এ আসনে রওশন এরশাদের নামে মনোনয়ন পত্র জমা দেন।  আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসাবে পরিচিত এ আসনে মাদানী নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।মহাজোটের বহিরাগত প্রার্থী হলে এ আসনটি হারাতে হবে।

গত নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনে সংসদ সদস্য হন মহাজোট পার্থী জাতীয় পর্টির এম এ হান্নান। সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে আছেন জেলে। ফলে কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি এখানে।

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি রুহুল আমীন মাদানী বলছেন, যদি এই আসনে আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী না থাকে, তাহলে দুপুর ১২টার মধ্যেই জয় ছিনিয়ে নিবে বিএনপি। মূলত ভোট ব্যাংক আওয়ামী লীগের। তাই, এখানকার লোকজন আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থী চায়। সে আমি হই বা যে কেউ হতে পারে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।