
কেন্দুয়া প্রতিনিধি: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলকে নৌকার নতুন মাঝি মনোনীত করেছে দলটি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এ আসনে প্রভাবশালী ও তৃণমূলের জনপ্রিয় একজন নেতা। তাই অনেকটা অস্বস্তিতে রয়েছে বিএনপি। তবে বিএনপি হাইকমান্ড এ আসনে যোগ্য প্রার্থী মনোনীত করলে নৌকাকে ঠেকানো সম্ভব হবে বলে জানান দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
আসনটিতে ইতোমধ্যে নৌকার দলীয় প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের নাম ঘোষণা করা হলেও বিএনপির প্রার্থীর নাম ঘোষনা করা হয়নি। তবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হাইকমান্ডের পরামর্শে গত রোববার কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলাল পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উচ্ছ্বসিত ও উজ্জীবিত হয়ে উঠেন এ আসনের কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। আলহাজ মো. দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলাল জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি পূর্বে আরো দুইবার কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও দুইবার কেন্দুয়া উপজেলা সদরের কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও একবার কেন্দুয়া পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় এবং সব সময় এলাকায় অবস্থান করায় দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আস্থা তার উপরই। স্থানীয়ভাবে তিনি প্রভাবশালী ও ‘নির্বাচন মেকার’ হিসাবে সুপরিচিত। এছাড়া এ আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর নামও আলোচনায় রয়েছে।
আটপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সনজুর রহমান ভূইয়া ও কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াকুব আলী ভূইয়া জুয়েলের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, হাইকমান্ড আলহাজ মো. দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলালের হাতেই ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। কারণ নৌকাকে ঠেকাতে হলে দুলালের কোনো বিকল্প নেই। আমরা দুলাল ভাইয়ের অপেক্ষায় আছি। কেবলমাত্র তিনি ধানের শীষ নিয়ে এলেই নৌকাকে পরাজিত করে আসনটি পুনরুদ্ধার করে দলকে উপহার দেওয়া সম্ভব।
এ ব্যাপারে আলহাজ মো. দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলালের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যপদে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশিনের বিধানমতে স্থানীয় সরকার বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। দলের হাইকমান্ডের পরামর্শেই পদত্যাগ করেছেন বলেও তিনি জানান।