যমুনা টিভির সংবাদে নেত্রকোণার সেই শত বছরের বৃদ্ধাকে বয়স্কভাতার কার্ড দেয়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: যমুনা টিভিতে শনিবার সংবাদ প্রচারের পর সেই শত বছরের বৃদ্ধাকে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের নির্দেশে বয়স্কভাতার কার্ড দেয়া হয়েছে।
নেত্রকোণা সদরের লক্ষিগঞ্জ ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের জলেহা আক্তার। ১৯০৮ সালের ৪ঠা আগস্ট জন্ম হয় এই প্রবীণ নারীর। জাতীয় পরিচয়পত্রের হিসেব অনুযায়ী একশো দশ বছর বয়স হলেও জীবন সায়াহ্নে মিলেছে প্রবীণ এ নারীর বয়স্কভাতার কার্ড। বড় ছেলে মারা গেছেন তিন দশক আগে। আর জলেহা আক্তারের স্বামী মারা গেছেন চার দশক আগে। সাত সন্তানের জননীর অন্যান্য সন্তানদের বয়সও ষাট থেকে সত্তরের কোটায়। দরীদ্র সন্তানেরা মায়ের জীবন সায়াহ্নে পারছিলেন না চিকিৎসা করাতে।
শনিবার এনিয়ে প্রতিবেদন প্রচারের পর বিষয়টি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হলে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিলে রোববার বিকেল চারটার দিকে নেত্রকোণা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আল মজীদ,উপজেলা সমাজ সেবা কর্র্মকর্তা মাজহার ইমরান ও যমুনাটিভির স্টাফ রির্পোটার ও দৈনিক বাংলার নেত্র পত্রিকার সম্পাদক কামাল হোসাইন নেত্রকোণা সদরের বিরামপুর গ্রামে গিয়ে একশো দশ বছর বয়সের জলেহা আক্তারের হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেন।
এসময় নেত্রকোণা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আল মজীদ এর উপস্থিতিতে যমুনা টিভির এক কর্মকর্তার দেয়া নগদ পাঁচ হাজার টাকা জলেহা আক্তারের হাতে তুলে দেন যমুনাটিভির স্টাফ রির্পোটার ও দৈনিক বাংলার নেত্র পত্রিকার সম্পাদক কামাল হোসাইন।
এসময় যুমনা টিভিকে নেত্রকোণা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আল মজীদ গুরুত্বপূর্ণ এই সংবাদ প্রচারের জন্য ধন্যবাদ জানান। এদিকে জলেহা আক্তার (১১০) এর পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যলয় ও যমুনা টিভিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।