নেত্রকোণার ৫টি আসনে আওয়ামীলীগের টিকিট পেলেন যাঁরা

স্টাফ রির্পোটার: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের জন্য মনোনীত প্রার্থীদের রোববার থেকে চিঠি দেওয়া শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এ চিঠি দেওয়া শুরু হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, যারা নির্বাচনের টিকিট পেয়েছেন, তাদেরই এ চিঠি দেয়া হচ্ছে।
নেত্রকোণার ৫টি আসনে আ’লীগের টিকিট যাদের দেয়া হয়েছে। নেত্রকোণা-১ (দুর্গাপুর- কলমাকান্দা) আসনে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী, প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মানু মজুমদারকে দেয়া হয়েছে।
মানু মজুমদার ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর জেলার কলমাকান্দার বেতগড়াসহ দুর্গাপুরের সীমান্ত এলাকায় প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেন। পরে ১৯৮১ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
নেত্রকোণা-২ (নেত্রকোণা সদর-বারহাট্টা) আসনে বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরুকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তিনি নেত্রকোণা ২ আসনের সাবেক এমপি (২০০৮-২০১৩)। ছাত্র জীবনে তিনি ১৯৬৯-৭০ সালে নেত্রকোণা মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বাবা মরহুম এন আই খান ছিলেন নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়র, নেত্রকোণা মহকুমা আওয়ামী লীগ এর প্রতিষ্ঠাকারীদের অন্যতম এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।


নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা অসীম কুমার উকিলকে দেয়া হয়েছে। তিনি কেন্দুয়া উপজেলার সন্তান অসীম কুমার উকিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ সালে পরিসংখ্যানে বি এস সি (অনার্স) এবং ১৯৮১ সালে এম এস সি ডিগ্রী লাভ করেন। অসীম কুমার উকিল ১৯৭৮-১৯৮০ জগন্নাথ হল শাখার প্রচার সম্পাদক, ১৯৮০-১৯৮১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র/ছাত্রী সংসদ (ডাকসু) এর নির্বাচিত সদস্য, ১৯৮১-১৯৮৩ ছাত্রলীগ জগন্নাথ হল শাখার সভাপতি, ১৯৮৩-১৯৮৬ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহবায়ক, ১৯৮৪-১৯৮৬ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-প্রচার সম্পাদক, ১৯৮৬-১৯৮৯ প্রচার সম্পাদক এবং ১৯৮৯-১৯৯৩ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩-২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক, ২০০২-২০০৯ ও ২০০৯-২০১২ এবং ২০১২-২০১৬ সালে ধারাবাহিকভাবে তিনবার উপ-প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
নেত্রকোণা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজরী) আসনে রেবেকা মমিনকে দেয়া হয়েছে। রেবেকা মমিন ১৯৪৭ সালের ১৫ মে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোণায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতার নাম কামরুন নাহার খানম। তার স্বামী আবদুল মমিন খান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং খন্দকার মোশতাক আহমেদ মন্ত্রীসভার সদস্য। রেবেকা মমিন নেত্রকোণা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন “সংসদ সদস্য” হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি জাতীয় সংসদের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নেত্রকোণা-৫ (পূর্বধলা) আসনে ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীরপ্রতীককে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরপ্রতীক। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। বর্তমানে তিনি নেত্রকোণা-৫ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
সাত ভাইয়ের মধ্যে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালাসহ তার চার ভাই খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর অন্য তিন ভাই ও তিন বোনও মুক্তিযোদ্ধা।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।