
বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় নির্বাচনী আসন আছে পাঁচটি। এই পাঁচ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে অন্তত ৮৭ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে তিনটি আসনে চারজন নারী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
তাঁরা হলেন, নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনে জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা তালুকদার, নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে সালমা আক্তার ও আজিদা কানিজ এবং নেত্রকোণা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনে রেবেকা মমিন। তারা প্রত্যেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মনোনয়নপত্র বিক্রির দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রেজাউল হাফিজ রেশিম।৮৬টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত পাঁচটি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ লাখ ১ হাজার ৯৬১ জন। এর মধ্যে অর্ধেক নারী ভোটার।
নেত্রকোণা-১(কলমাকান্দা-দুর্গাপুর)আসনে জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা তালুকদার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহসম্পাদক। তিনি এই আসনের তিনবারের সাবেক সাংসদ ও দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদারের মেয়ে। ঝুমা তালুকদার বলেন, ‘আমি এলাকার মানুষের জন্য ভালো কিছু করে তাদের পাশে থাকতে চাই। প্রয়াত বাবা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এলাকাবাসীর জন্য নি:স্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। আমি তার সন্তান হয়ে বাবার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চাই। তিনি আরো বলেন, ‘এই অঞ্চলে সংসদ নির্বাচনে আগে কোন নারী মনোনয়ন প্রত্যাশী হননি। আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় সব নারীরা এগিয়ে এসছেন। সকলের সহযোগিতা পাচ্ছি।’
এদিকে নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে সালমা আক্তার জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারমম্যান। তিনি কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। সালমা আক্তার পর পর দুইবার চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই সময় তিনি বৃক্ষ রোপনে অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত পান। সমাজ উন্নয়নে এবার তিনি জয়িতা বিভাগীয় পুরস্কার লাভ করেন। সালমা আক্তার জানান, ‘অষ্টম সংসদ নির্বাচন থেকে মনোনয় চেয়ে আসছি। দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। এবার আশা করি দলীয় প্রধান বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’
এই আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা আরেক নারী হলেন, আজিদা কানিজ। তিনি কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক কমিশনার। তিনি কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য।
নেত্রকোণা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনের রেবেকা মমিন বর্তমান সাংসদ। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনেও তিনি জয়ী হন। আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী প্রয়াত আব্দুল মমিনের স্ত্রী রেবেকা মমিন ষাটের দশকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হন। বঙ্গবন্ধুর জীবর্দ্দশায় মহিলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হলে তিনি ওই কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি জানান, ‘টানা দুই মেয়াদে অবহেলিত এই হাওরাঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াও বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, রাস্তা-ঘাটসহ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন করেছি। শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কাযক্রম মানুষের কাছে তুলে ধরছি। ভালো কাজ যদি করে থাকি তবে দলীয় প্রধান অবশ্যই মনোনয়নের বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’