নতুন ঘরের আশায় ২০ হাজার টাকায় সন্তান বিক্রি করলেন পিতা!

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ২০ হাজার টাকা ও নতুন ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার বিনিময়ে ৪ দিন বয়সী ছেলে সন্তানকে বিক্রি করে দেয়ার ঘটনার ঘটনা ঘটেছে ময়মনিসংহের ফুলবাড়িয়ায়। উপজেলার জোরবাড়িয়া গ্রামে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার বিনিময়ে ৪ দিন বয়সের পুত্র সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছে হতদরিদ্র পিতা দুলাল মিয়া। অভাবের তাড়নায় পিতা নবজাতক বিক্রি করলেও মা রওশন আরার কান্না কোনোভাবেই থামছে না।
থাকার ঘর জারাজির্ন তাই নতুন ঘরের আশায় সন্তান বিক্রী করলেন ময়নসিংহের এক দম্পত্তি। ইতিমধ্যে একটি ঘর নির্মাণ ও বিশ হাজার টাকার বিনিময়ে নবজাতককে তুলে দেয়া হয়েছে অন্যের কোলে। ফুলবাড়িয়া উপজেলার জোরবাড়িয়া গ্রামে ৪ দিন বয়সের পুত্র সন্তানকে বিক্রি করে দেয়ার ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এলাকায়।
জানা গেছে, জোরবাড়িয়া গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর শারীরিক প্রতিবন্ধী পুত্র দুলাল মিয়ার (৪৮) প্রথম স্ত্রী নাজমা খাতুন দুই সন্তান রেখে প্রায় ১৪ বছর পূর্বে মারা যায়। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর ৫ বছর পর পাশ্ববর্তী জোরবাড়িয়া কোনাপাড়া গ্রামের আ. মান্নানের মেয়ে রওশনা আরাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রায় ১০ বছরের সংসারে দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেয় শান্তা, সিয়াম, সানজিদা, সিফাদ। সবার বয়স ১০ বছেরর নিচে।
গত ২৭ দিন পূর্বে রওশন আরা আরো একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। হতদরিদ্র পিতা সন্তান লালন-পালন করতে পারবে না বলে বন বিভাগে চাকুরি করেন তার কাছে ২০ হাজার টাকা ও নতুন ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার বিনিময়ে স্থানীয় আব্দুর রউফের মাধ্যমে চার দিন বয়সের নবাজাতককে বিক্রি করে দেয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জোরবাড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামে শারীরিক প্রতিবন্ধী দুলাল মিয়ার ছোট একটি ভাঙ্গা খুপড়ি ঘর। জমিজমা নেই। মাঝে মধ্যে ভিক্ষাবৃত্তি করেন। স্ত্রীসহ ৪ সন্তান নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করেন। খুপড়ি ঘরটিও ভাইয়ের দেওয়া এক শতাংশ জমির ওপর। সন্তানরা কেউ স্কুলে যায় না। অভাব অনটনের সংসার তার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লীরা তরফদার বলেন,বাবা মায়ের সাথে কথাবলেছি। আসলে হত দ্ররিদ্রত তাই সন্তানের সংখ্যা অনেক বেশি তাই তারা এই কজটি করেছে। যার জমি আছে ঘর নায় এই প্রজেক্ট থেক একটি করে দেওয়া হেব। নিজের সন্তান বিক্রি করা সমাজের জঘন্যতম কাজ সন্তান বিক্রির বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।