নেত্রকোণায় শিবিরের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার : ৫ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় জেলা শিবিরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ বিষয়ক সম্পাদকসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুইটি পাইপ গান, পাঁচটি কার্তুজ, ১১টি ককটেল, পাঁচটি পেট্রোল বোমা, বিস্ফোরক দ্রব্য, একটি ল্যাপটপ, কম্পিউটার, সিপিইউ, ক্যামেরা, সাউন্ড বক্স, মাইক্রোফোন, বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই ও কেসেট, চাঁদা আদায়ের রশিদ, সাংবাদিক পরিচয়ের তিনটি আইড কাডসহ গুরুত্ব পূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে শহরের কুড়পাড় এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, আবু হুরায়রা মিলকী (২৭), আবু ইসহাক (২২), মো. কামরুল ইসলাম (২৫), মো. আবুল সালিক (২৩) ও মো. নাইম (২২)। এদের মধ্যে আবু হুরায়রা মিলকী নেত্রকোণা জেলা শিবিরের সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার রাযটুটি গ্রামের বাসিন্দা মো. শফিকুল ইসলাম মিলকীর ছেলে। মো. কামরুল ইসলাম শিবিরের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নেত্রকোণা সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি নেত্রকোণার মদনের ত্রিপন গ্রামের মো. মহিম উদ্দিনের ছেলে। মো. কামরুল ইসলাম ওই কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জের ধরমপাশা বড়ইবাড়ি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি নেত্রকোণা সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। মো. আবুল সালিক জেলা শিবিরের সদস্য। তিনি সিলেট শাহজালাল জামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের পেরিরচর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে। আর মো. নাইম জেলা শিবিরের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি পূর্বধলার কাজলা গ্রামের মো. কামাল মিয়ার ছেলে ও নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই শিবির নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের নামে থনায় নাশকতার মামলা রয়েছে। বর্তমানে থানায় এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।