
“তবে চলো”
সৈয়দা শাম্মী রাব্বানী
শ্রান্ত পায়ে হাঁটছি আমি বাড়ির আঙিনায়
নজর পরে গগন কোলে অদ্রি ঘুমায়,
থাকি গাড়ো পাহারের সীমানায়
তবে নয় হিমালয় — — —।
তবুও তো বিশাল পাহাড় এতো ভুল নয়
সৃষ্টি সমূদ্রালয়ে — — —
পাহাড়ের ঝর্না ধারায় সমূদ্রের সৃষ্টি হয়
তাই বুঝি মালিক আমায় হেথায় নিয়ে যায়।
থাকি গাড়ো হাজং পাহাড়ের সীমানায়
নিল আকাশে মেঘের ভেলা বিছায়ে
কঠিন পাহাড়ে সবুজ কানন আছে ঘুমিয়ে
গাড়ো হাজং খ্রীষ্টান হিন্দু মুসলমান একি নিলয়ে।
চমৎকার হাওর ঝিলের রং খেলায়
সাদা বক, ঘুঘু, বালিহাঁস যেন আছে ঝিলে চাদর বিছিয়ে
পদ্ম, শাপলা, ফুটে আছে নিরতিশয়ে
সমতল ভূমি সবুজে অবুঝে আছে মিলিয়ে।
পাহাড়ের ঝর্না ধারায় দিশেহারা প্রেম সাজিয়ে
মিলিত হয় সাগরে ঝর্না ধারা কলো কলো তন্ময়ে
দেখেছো কি কভু? ঝর্না বারি কেমনে যায় গড়িয়ে?
হেথায় পূর্ণিমার চাঁদ থাকে যেন লুকিয়ে।
প্রেমিক হাঁটে আলতো পায়ে
প্রেমিকা বসন্তের ডালি হাতে সাজিয়ে
তিমির কাটিয়ে দেয় সূর্যোদয়ে
স্নানে রত হয় দু’জন দুজনায়।
কি অচ্ছেদ্য বন্ধনে আকাশের বুকে পাহাড় আছে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে
ওহে চলো হেথায়, যেথায় আম্বর গিরি আছে একি শেখরে
তুমি যাবে কি গো সেই স্বর্গ ছায়ে?
ওরে পাহাড় ঘুমায় আকাশের গায়।
তবে চলো দূর্গা পুর কলমাকান্দায়
সৌহার্দ্য হরিতো ধারা আছে লুকিয়ে,
দূর্গা পুর, কলমাকান্দায় প্রতি হৃদয়ে নিলয়ে
বোরাকে নামে বুঝি আজো শিষ্ট পায়ে।
তবে দেরি নয় চল নেত্রকোণার দূর্গাপুর, কলমাকান্দায়
৭১- যুদ্ধ করিতে করিতে যাঁরা সহিদ হন এই সীমানায়
ঐ তো সাত সহিদ ঘুমিয়ে আছে গাড়ো পাহারের নিলিমায়
ভূমিদ্রো সাজাবেন নিয়তি নক্ষত্র রচনায়
গাড়ো পাহারের দিগান্তালয়ে।