মানুষের ভাগ্যে উন্নয়নসহ নেত্রকোণাকে উন্নয়নের রোল মডেল করতে চাই-ভিপি লিটন

বিশেষ প্রতিনিধি : নেত্রকোণা সদর-বারহাট্টা দুই উপজেলা নিয়ে নেত্রকোণা-২ আসন। এ আসনটি জেলার ৫টি আসনের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখান থেকেই জেলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হয়। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে কাজ করছেন বারো জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক, নেত্রকোণা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি শামছুর রহমান ওরফে ভিপি লিটন অন্যতম। তাকে ঘিরে দুই উপজেলার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মথ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তিনি খুবই জনপ্রিয় মুখ। তিনি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন উপজেলায় গড়ে তুলেছেন কর্মী সমর্থক।
শামছুর রহমান লিটন ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। এক পর্যায়ে নেত্রকোণা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। চার দলীয় জোট সরকারের আমলে তৎকালীন সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা তিনি নির্যাতনের শিকার হন। তাকে এলোপাথারিী কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে রেখেছিল সন্ত্রাসীরা। সে দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েন সাবেক এই ছাত্রনেতা। ওইসময় প্রথমে তাকে ময়মনসিংহ ও ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার দুইদিন পর তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঙ্গু হাসপাতালে তাকে দেখতে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে থেকেই ভিপি লিটনের চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ্য হন। নির্যাতিত এই নেতাকে রাজনীতি করতে গিয়ে জোট সরকারের আমলে বারবার কারাভোগ করতে হয়। সুস্থ্য হওয়ার পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় কাজ করছেন ভিপি লিটন। গত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ভিপি লিটন নেত্রকোণা- ২ (সদর-বারহাট্টা) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তারপরও তিনি হাল ছাড়েননি। নৌকার পক্ষে দলের হয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্চেন। প্রায়শই নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করে যাচ্ছেন। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য এলাকাবাসীর সাথে কথা বলছেন। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন লাভের জন্য কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের সাথে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন শামছুর রহমান লিটন।
নেত্রকোণা-২ আসনের সদর ও বারহাট্টায় দলীয় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে শামছুর রহমান লিটন খুবই আস্থাভাজন রাজনৈতিক নেতা। তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকেন। প্রায়শই দুই উপজেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় গণসংযোগ, মতবিনিময় করছেন। গত শারদীয় দুর্গাপূজায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে তিনি দুই উপজেলার শতাধিক পূজামন্ডপ পরিদর্শন করে পূজায় আগত পূজারী ও সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেছেন। মূজামন্ডপে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন তিনি। দুর্গপূজা পরিদর্শনের সময় জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যন সৈয়দ বজলুর রহমান, মেদনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আজিজ, কাইলাটী ইউনিয় আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আহম্মদ, লক্ষীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারেকসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার সাথে ছিলেন।
নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুর রহমান লিটন বলেন, সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে মানুষের জন্য রাজনীতি করে আসছি। রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক অত্যাচার নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। সংসদে গিয়ে অবহেলিত মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই। আশা করি দলীয় হাই কমান্ড বিষয়টি বিবেচনা করে আমাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।