
বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেনের হস্তক্ষেপে স্কুলপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর (১৬) বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ইউএনও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ও মেয়েটির পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে বিয়েটি বন্ধ করেন। ইউএনও জাকির হোসেন বলেন, ‘মেয়েটির পরিবার গোপনে বিয়ের আয়োজন করেছিল। বাল্যবিবাহের কুফল সমন্ধে তাঁদের বুঝিয়ে বিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেনা বলে পোগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় মুচলেখা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেয়েটি যাতে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে তারও ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দার পোগলা ইউনিয়নের ওই মেয়েটি উপজেলা সদরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী। শুক্রবার বিকেলে তার বিয়ের কথা ছিল। বর ছিলেন একই জেলার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা গ্রামের এক যুবক (২৫)। খবর পেয়ে গতকাল সকালে জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে ইউনিসেফের সিফরডি প্রকল্পের ইউনিয়ন সমন্বয়কারী জুয়েল জোয়ারদার মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধের অনুরোধ জানান। কিন্তু পরিবারের লোকজন এই বিয়ে বন্ধ করতে চাননি। পরে তিনি বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। ইউএনও চেয়ারম্যানকে বিয়েটি বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মুঠোফোনে মেয়েটির পরিবারের লোকজনদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বিয়েটি বন্ধ করেন।