খালিয়াজুরিতে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার খালিয়াজুরিতে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে মো. কাইয়ুম মিয়া (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতের ওই ঘটনায় মেয়েটির মা রোববার সকালে থানায় এসে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। বখাটে কাইয়ুমের বাড়ি খালিয়াজুরির উপজেলার চাকুয়া মজিদপুর গ্রামের তালদিঘা পাড়ায়। তিনি ওই এলাকার ফুল মিয়ার ছেলে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খালিয়াজুরির চাকুয়া ইউনিয়নের দরিদ্র পরিবারের ওই মেয়েটি গত সন্ধ্যা শনিবার ছয়টার দিকে তার শ্রমজীবী মা ও ভাইদের জন্য পাশের ঘরে ভাত রান্না করছিল। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে প্রতিবেশী কাইয়ুম মেয়েটিকে একা পেয়ে মুখে কাপড় চাপা দিয়ে তাকে আড়কোল করে তুলে নিয়ে যান। পরে বাড়ির পাশে হাওরের নির্জন স্থানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়। এ সময় মেয়েটির ডাক-চিৎকারে ওই পথ দিয়ে যাওয়া এক পথিক এগিয়ে এলে কাইয়ুম মিয়া সটকে পড়েন। ধস্তাধস্তিতে আহত মেয়েটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওই দিন রাতে খালিয়াজুরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা গতকাল রোববার সকালে থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায় বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ও স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য গ্রাম্য মাতবররা চেষ্টা চালাচ্ছেন।

মেয়েটির মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দরিদ্র মানুষ, খেটেখুটে খাই। বাপ মরা মেয়েটিকে কাইয়ুম ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে। এখন গ্রামের কয়েকজন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।ঘটনাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকেও জানিয়েছি। আমি এর বিচার চাই।’
জানতে চাইলে চাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। এ দিকে,ঘটনার পর অভিযুক্ত কাইয়ুম গা ঢাকা দিয়েছেন। তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ নিয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

খালিয়াজুরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হযরত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে ওই দিন রাতেই পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটিকে দেখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত কাইয়ুমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটির মাকে বলা হয়েছে পুলিশ সব রকমের আইনি সহায়তা নিতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি চাইলে এ নিয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করতে পারবেন।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।