বারহাট্টায় প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

মামুন কৌসিক বারহাট্টা থেকে  : বিদ্যািলয়ে আসন না থাকায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে ভর্তির সুযোগ না দেওয়ায় নেত্রকোণার বারহাট্টা সিকেপি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যারলয়ের প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু সরকারের ওপর হামলা করেছেন ওই ছাত্রের বাবা। এতে প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যারলয়ের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার দুপুরের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক সন্ধ্যাায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত ওই ব্য ক্তির নাম মো. ইনসান আলী (৪৫)। তিনি বারহাট্টা উপজেলার মনাস নওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও বিদ্যাওলয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে মনাস নওয়াপাড়া গ্রামের মো. ইনসান আলী তাঁর ছেলেকে নিয়ে বারহাট্টা সিকেপে সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যাললয়ে আসেন। এর আগেও তিনি দুই বার একই বিষয় নিয়ে এসেছিলেন। পরে তিনি প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গিয়ে তাঁর ছেলেকে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করার জন্যর চাপ দেন। প্রধান শিক্ষক এতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি ইনসান আলীকে জানান তাঁর বিদ্যানলয়ে সপ্তম শ্রেণির দুইটি শাখার আসন সংখ্যা সীমিত। এছাড়া বছরের শেষ দিক হওয়ায় নতুন করে বাইরের বিদ্যানলয় থেকে আসা শিক্ষার্থী ভর্তি করা সম্ভব নয়। এ কথা শুনে ইনসান আলী প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষেপে যান। প্রধান শিক্ষক তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলে তিনি টেবিলে থাকা স্টেপলার নিয়ে প্রধান শিক্ষকের দিকে ছুঁড়ে মারেন। এক পর্যায়ে চেয়ার নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান। এতে প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু সরকার গুরুতর আহত হন। এ সময় কাছে থাকা ষষ্ঠ শ্রেণি ও দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী এগিয়ে এলে ইনসান আলী তাদের ওপরও হামলা করেন। ওই শিক্ষর্থীরাও আহত হয়। পরে বিদ্যাচলয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দৌড়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যি কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ইনসানকে আটক করে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এলে আটক হওয়া বযতেক্তিকে পুলিশে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর বিদ্যােলয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু সরকার বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় একটি মামলা করেছেন।

বিদ্যা।লয়ের সহকারী পপ্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বিদ্যা লয়ে ঢুকে প্রধান শিক্ষকরে ওপর হামলা ন্যারক্কারজনক। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে আগামীকাল (আজ সোমবার) শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মিলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু সরকার বলেন, ‘আমি ইনসান আলীকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি তা মানেন নি। এর আগেও দুই দিন তিনি একই বিষয় নিয়ে এসেছিলেন। তিনি পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলা করেছেন।’ পুলিশ হেফাজতে থাকায় এ নিয়ে ইনসানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম খান বলেন, ‘ এ নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ইনসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

 

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।