
খালিয়াজুরী প্রতিনিধি: নেত্রকোণার খালিয়াজুরিতে ত্রাণের ৩৯ পিচ টিন বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে একটি মাদ্রার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে বিক্রির ওই টিনগুলো পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
সোমবার বিকেলে খালিয়াজুরির কৃষ্ণপুর দারুল উলুম ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কাজী এহতেশামুল হক গা ঢাকা দিয়েছেন।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খালিয়াজুরির কৃষ্ণপুর দারুল উলুম ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার মসজিদে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে নয় ফুট দৈঘ্য বিশিষ্ট ৩৯ পিচ টিন দেওয়া হয়। টিনগুলোর গায়ে সরকারি সিল মারা এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কাজী এহতেশামুল হক একই উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মৌলা মিয়া নামে এক রাজ মিস্ত্রির কাছে টিনগুলো গোপনে বিক্রি করে দেন। গত সোমবার দুপুরে ত্রাণের এসব টিন যখন কৃষ্ণপুর টলার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় তখন স্থানীয়রা তা জেনে ফেলে। পরে বিষয়টি বেলা দুইটার দিকে খালিয়াজুরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবুর কাছে মুঠোফোনে জানান। ইউএনও থানার পুলিশকে জানালে পুলিশ বিকেল চারটার দিকে কৃষ্ণপুর বাজারের ট্রলার ঘাটে একটি ট্রলার থেকে ৩৯পিচ টিন জব্দ করে। বর্তমানে টিনগুলো খালিয়াজুরি থানায় এনে রাখা হয়েছে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে টিনের সঙ্গে থাকা লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। মাদ্রার মসজিদের টিন বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে অধ্যক্ষ কাজী এহতেশামুল হক গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
খালিয়াজুরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হযরত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। জব্দ করা টিনগুলো বর্তমানে থানায় এনে রাখা হয়েছে।
ইউএনও সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছে শুনেছি অবৈধভাবে ত্রাণের এসব টিন বিক্রি করার জন্য টলার ঘাটে একটি নৌকায় এনে রাখা হয়েছিল। যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’