উন্নয়ন মেলায় সমৃদ্ধ হচ্ছেন স্থানীয়রা

বিশেষ প্রতিনিধি: বারহাট্টা উপজেলার কর্ণপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন। স্থায়ীভাবে এলাকায়ই বসবাস। একটা প্রাইভেট স্কুলের প্রিন্সিপাল তিনি। জেলা শহরে এসে মিউজিকের শব্দ শুনে এগুলেন। দেখলেন বাহারী আয়োজনের বিভিন্ন স্টল। পা বাড়ালেন একটি স্টলে। দেখলেন উপরে লিখা পানি উন্নয়ন বোর্ড, নেত্রকোণা। সামনে যেতে স্টল থেকে বেড়িয়ে এলেন একজন। কিছু কাগজ হাতে ধরিয়ে দিলেন। তোফাজ্জল কাগজ দেখছেন। যে কাগজ দিয়েছেন তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আক্তারুজ্জামান। ওই কাগজ পড়ে তোফাজ্জল জানলেন নেত্রকোণায় নদী আছে ৭টি। সোমেশ্বরী, ভোগাই কংশ, ধনু, পিয়াইন, মগড়া, গুমাই ও উপদাখালী। নদীগুলো মোট ৩৩৪ কিলোমিটার ছড়িয়ে আছে। আর নেত্রকোণায় মোট খাল আছে ১১৫টি । মোট দৈঘ্য ৩৩৪৯.১৪ কিলোমিটার। সমৃদ্ধ তথ্য জেনে খুব খুশি তিনি। এভাবে নেত্রকোণার উন্নয়ন মেলায় মোট ৮৭ টি স্টল বসেছে। বিভিন্ন স্টলে শত শত লোকজন ঘুরছে। তথ্য পাচ্ছে। সমৃদ্ধ হচ্ছেন স্থানীয়রা,অভিমত তোফাজ্জলের। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আক্তারুজ্জামান জানালেন, সমমÍ উন্নয়ন কাজ জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে চাই আমরা। তাছাড়া জেলার উন্নয়ন প্রকল্প গুলো সরাসরি জণগণ জানতে পারলে দুর্নীতি কমবে। কাজের জবাবদিহিতা বাড়বে। কাজের স্বচ্ছতা আনতে এই মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম,ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা,এমডিজি অর্জনে সরকারের সাফল্য প্রচার ও এসডিজি বাস্তবায়নে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করাসহ সরকারি দপ্তরগুলোতে কি ধরনের সেবা প্রদান করা হয় তা জনগণের কাছে তুলে ধরতে নেত্রকোণায় তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরাতন কালেক্টরাল প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন এই মেলার আয়োজন করে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মেলার স্থান থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এতে সরকারি বেসরকারি দপ্তর ছাড়াও নানা-শেণি পেশার লোকজন অংশ নেন। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন করেন। পরে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, পৌরমেয়র মো. নজরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মতিয়র রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান প্রমুখ।


মেলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা ছাড়াও বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দপ্তরের ৮৭টি স্টল রয়েছে। এ দিকে জেলার ১০টি উপজেলা পরিষদ চত্বরে একই উদ্দেশ্য ও কর্মসূচিতে মেলার আয়োজন করা হয়।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।