নেত্রকোণায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় সোনালী ব্যাংক থেকে সমাজসেবা কাযালয়ের এক কর্মসহায়কের কাছ থেকে তিন লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শহরের অজহর রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তবে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি রহস্যজনক বলছে পুলিশ, ব্যাংক ও সমাজসেবা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ওই কর্মচারীকে নিয়ে রাত সাড়ে সাতটার দিকে জেলা সমাজসেবা কাযালয়ে উপপরিচালক মো. আলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের বসেছেন।
ওই কর্মসহায়কের নাম মো. রমজান আলী (২৩)। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার দক্ষিণবিশিউড়া এলাকায়। তিনি সদর উপজেলা সমাজসেবা কাযালয়ে প্রায় আড়াই বছর ধরে কর্মরত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা সোনালী ব্যাংক থেকে রমজান্ আলী তাঁর কাযালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সেপ্টম্বর মাসের বেতন বাবদ তিন লাখ ৩৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এর পর তিনি ওই স্থানে টাকাগুলো গুণতে থাকেন। রমজানের দাবি, তাঁর কাছ থেকে সব টাকা এক ব্যক্তি ছিনিয়ে নিয়ে যান। তবে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি রহস্যজনক বলছে পুলিশ, ব্যাংক ও সমাজসেবা কর্তৃপক্ষ।
জেলা সমাজসেবা কাযালয়ে উপপরিচালক মো. আলাল উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন,‘বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে জ্ঞিাসাবাদ করা হচ্ছে। যদি টাকা ফেরত না দেয় তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নেত্রকোণা সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘রমজান আলী টাকা ছিনতাইয়ের যে কথা বলছেন তা আমাদের জানা নেই। তিনি টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। পরে কি ঘটেছে তা ব্যংকের কেউ জানেন না।’
নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোহান উদ্দিন খান বলেন, ‘বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সমাজসেবা কাযালয় থেকে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাই নি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।