ঘটনার ২৪ ঘণ্টায় কলমাকান্দা ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উদঘাটন : আটক-১

কলমাকান্দা প্রতিনিধি: ঘটনার মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কলমাকান্দায় ব্যবসায়ী খুনের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে দুর্গাপুর সার্কেল অফিসার শাহ শিবলী সাদিক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ আকরাম হোসেন এঘটনায় জড়িত আসামী রতন মিয়া (৪০)কে আটক করে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেন।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, প্রসাধনী ব্যবসায়ী বাবুলের আয়কর অফিসের নৈশ প্রহরী’র স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। এরই জেরে ভিকটিম বাবুল মিয়াকে কৌশলে নেত্রকোণা থেকে কলমাকান্দার একটি বিলের নির্জন স্থানে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় । এই ঘটনায় রোববার রাতে খুনের মূল হোতা নৈশ প্রহরী রতন মিয়া (৪০)-কে আটক করে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার রাতে নিহতের ছোট ভাই শামীম মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে কলমাকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, নিহত বাবুল নেত্রকোণা শহরে ভাড়া বাসায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে ফেরি করে প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রি করত। এর মধ্যে শহরের পশ্চিম চকপাড়া নৈশপ্রহরী রতন মিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ বিষয় জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয় রতন। পরে গত শুক্রবার বাবুলকে সু-কৌশলে কলমাকান্দা উপজেলার কাকুরিয়া মাছিম (দাসপাড়া) গ্রামের মরাকান্দা বিলের পাশে ডেকে নিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ঘটানস্থলে কচুরিপানার ভিতরে রেখে আসে রতন।
কলমাকান্দা থানার এসআই মোঃ আকরাম হোসেন জানান,উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় এই হত্যাকা-ের সাথে জড়িত আসামীকে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ধরতে সক্ষম হই। জিজ্ঞাসাবাদে আসামী জানায়,আয়কর অফিসের নৈশ প্রহরী’ রতনের স্ত্রীর সঙ্গে ভিকটিম বাবুলের পরকীয়ার প্রেম ছিল। এবং এরই জেরে হত্যা করে বিলে লাশ লুকিয়ে রাখে। আসামাীকে জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে নেত্রকোণার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানা’র আদালতে হাজির করা হয়। আসামী আদালতে হাজির হয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ওসি মো. মাজহারুল করিম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছে আসামী রতন। সোমবার বিকেলে তাকে আদালতে পাঠালে আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করার পর তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম জানান, আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীকে চিহ্নিত করে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। সোমবার বিকেলে আসামীকে আদালতে হাজির করলে আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।