শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করায় নেত্রকোণায় দিনব্যাপী উৎসব

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ র‌্যালী আলোচনা সভাসহ দিনব্যাপী উৎসব করেছে নেত্রকোণা বাসী।
উৎসব উদযাপন পর্ষদ,নেত্রকোণার উদ্যোগে রবিবার পুরাতন কালেক্টরেট উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে এই আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই সকল সরকারী, আধা সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে পুরাতন কালেক্টরেট উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকে।
এ সময় মঞ্চে চলতে থাকে গণজাগরণী গান। সকাল ১১টায় শুরু হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা। আনন্দ শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহন করেন উৎসব উদযাপন পর্ষদের আহবায়ক জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম, শেখ হাসিনা বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি ড. রফিক উল্লাহ খান, নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ এ কে এম সাদেকুল আজম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ মতিয়র রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আশরাফ আলী খান খসরু, পৌর মেয়র আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম খান, উৎসব উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক নূর খান মিঠু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বজলুল কাদের শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক জি এম খান পাঠান বিমল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নূরুল আমীন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান খান রতন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পিপি এডভোকেট ইফতেখার উদ্দিন মাসুদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ভজন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুর রহমান ভিপি লিটন, জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুক, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকার, ও রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারী গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু প্রমূখ।
পরে নেত্রকোণা জেলায় বর্তমান সরকারের বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়ধীন নানা উন্নয়ন প্রকল্প সমূহ জনগনের সামনে তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। একই দিনে জেলার দশ উপজেলায় দিনব্যাপী উৎসব পালন করা হয়েছে।
নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম সাদেকুল আজম জানান, ‘ প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অনুমোদনপ্রাপ্ত কলেজটির কার্যক্রম শুরু করতে যা যা করতে হয় তার সবই করব। এবারই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তাদের ক্লাসও শুরু হবে দেশের অন্যান্য মেডিকেল কলেজের সাথেই।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই নেত্রকোণার সিভিল সার্জনের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছে এবং সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যথেষ্ট অবকাঠামো থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি। তাই মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায ড. রফিকউল্লাহ খান বলেন, এখানে বিস্তৃত জলাভূমি অনুর্ভর ভূ-খ- পড়ে আছে। যদি উন্নত ও আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়,তাহলে পৃথিবীর কত দেশের গবেষক সেখানে গবেষণা করতে আসবে। বৈশ্বিকভাবে এটাকে সেভাবেই তৈরি করতে হবে। আর নেত্রকোণায় যে সুবিধা রয়েছেও। সেখানে আশেপাশে রয়েছে ছোটখাট বিল-ঝিল; যেখানে লেক (হ্রদ) তৈরি ছাড়াও রয়েছে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য সৃষ্টির সুযোগ। আমি আশা করি,এখানে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে পারবো। এর জন্য যে খুব বেশি সময় লাগবে আমি তাও মনে করি না। এর জন্যে প্রাথমিকভাবে দরকার ভূমি অধিগ্রহণ। এলাকার জনগণ খুবই সহযোগিতামূলক মনোভাব। এক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। হয়তো কিছুটা সময় লাগতে পারে।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এমপি বলেছেন, নেত্রকোণায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনসহ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোণার পাঁচটি আসন উপহার দিয়ে আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।