
মদন প্রতিনিধি: বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই নেত্রকোণার মদন উপজেলার বিভিন্ন বাজার,সড়ক ও বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হবার হুমকিতে রয়েছে। এ সব এলাকার ব্যবসায়ী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পথচারীরা সর্বদায় আতংকের মধ্যে রয়েছে।
জানা যায়,তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী বাঘমারা বাজার, প্রাথমিক বিদ্যালয়,ফতেপুর এস এস সি উচ্চ বিদ্যালয়,বাগজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কালিবাড়ি মোড় বাজার ও পাকা সড়ক,ফতেপুর জাল বাড়ি মগড়া নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার হুমকিতে রয়েছে। যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে প্রাণহানীর আশংকা বিরাজ করছে এ সব এলাকায়। ফলে বাজারের ব্যবসায়ী, পথচারী ও বিদ্যালয়ের কোমলমিত শিশুরা থাকে আতংকে। নদী ভাঙনের ফলে লেখাধুলার মাঠ গুলো ছোট হয়ে আসছে। বিদ্যালয় বাজার ও রাস্তা মগড়ানদী ঘেষে থাকায় প্রতি বছর বর্ষার পানি নেমে যাবার সময় প্রবল ¯্রােতে নদী ভাঙনের কবলে পড়তে হয় বলে এলাকাবাসীরা জানান। মঙ্গলবার সরজমিনে গেলে দেখা যায়,মগড়া নদীর তীরবর্তী হওয়ায় নদী ভাঙন তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকাবাসাী জানান, নদী ভাঙ্গনের ফলে পুরাতন তিয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের একটি পরিত্যক্ত ভবন নদীর গর্ভে চলে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে বিদ্যালয়সহ বাজারটি।
বালালী বাঘমারা বাজারের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রোকন উদ্দিন আহমেদ জানান, বাজার ও বিদ্যালয়টি নদী ভাঙনের ফলে হুমকিতে রয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আতংকে থাকছে। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি ছোট হয়ে আসছে। কালি বাড়ি মোড়,বাজার সড়ক,বাগজান প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মগড়া নদীর পাড়ের বিভিন্ন স্থাপনা সরজমিনে তদন্ত করে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান ফকর উদ্দিন আহমেদ জানান,দিন দিন মগড়া নদীর ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি এ বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্ত তারা আশ্বস্থ্য করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওয়ালীউল হাসান জানান, নদী ভাঙনের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আশা করছি অচিরেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আকতারুজ্জামান বলেন, নদী ভাঙনের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণ আমার কাছে এসে ছিলেন। জুন মাস চলে যাওয়ায় আগামী বাজেটে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।