মদনে বরযাত্রীবাহী ট্রলার বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত-১ আহত ২০

মদন প্রতিনিধি: নেত্রকোণার মদন উপজেলার কাইকুড়িয়া গ্রামের সামনে তলার হাওরে বিদ্যুতের ছেড়া তাড়ে জড়িয়ে বরযাত্রী ট্রলারে একজন নিহত ও বরসহ বিশজন যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।
প্রত্যেক্ষদর্শীর বিবরনে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ৫০/ ৬০ জন বরযাত্রী নিয়ে তিয়শ্রী বাস্তা গ্রাম থেকে মোহনগঞ্জ উপজেলার বরান্তর গ্রামে যাবার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে কাইকুড়িয়া গ্রামের সামনে পৌছলে বিদ্যুতের ছেড়া তাড়ে ট্রলারটি জড়িয়ে পড়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। ট্রলারের ছাদের উপরে থাকা লোকজন পানিতে পরে যায় এবং ভিতরে থাকা লোকজনের আত্ম চিৎকারে কাইকুড়িয়া গ্রামের লোকজন নৌকা যোগে এদেরকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে এলে পথে বরযাত্রী গঙ্গানগর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আলমামুন (২২) মারা যায়। মদন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। আহত বর বাস্তা গ্রামের আশরাফ সহ ঐ গ্রামের বরযাত্রী লিপ্টন, হাবু, মহসিন, বাবুল, শাফায়েতুল, রাফি, সৌরভ, নৌকার সারেং রাজ্জাকের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বাকি আহত আরিফ, মইনুল, হাফিজ, ও ইজ্জত আলীকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর লিখা সময় পর্যন্ত হাসপাতালে আগত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে । উল্লেখ্য বাস্তা গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আশরাফ মিয়ার সাথে মোহনগঞ্জ উপজেলার বরান্তর গ্রামের ছোহরাব আলীর মেয়ে মিতা আক্তারের সাথে শুভ বিবাহের দিন ধার্য্য ছিল।
কাইকুড়িয়া গ্রামের প্রত্যেক্ষদর্শী সুমন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সামনের হাওরে বিদ্যুতের খুটিঁতে তাঁর ছিড়ে ঝুলে থাকার খবর আমরা বিদ্যুৎ অফিসে পৌছালেও ব্যবস্থা না নেয়ায় এ দূর্ঘটনা ঘটেছে এবং আরো দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে নেত্রকোণার মদন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী জেলারেল ম্যানেজার হাফিজুর রহমান জানান,বরযাত্রীবাহী ট্রলারটির সারেং ছিল না। অন্য একজন ট্রলারটি চালিয়ে নেয়ার সময় বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা দিলে তাড় ছিড়ে পরে এঘটনাটি ঘটে। তবে ছিড়ে যাওয়ার লাইনের মেরামত চলছে।
স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা চিকিৎসক মোঃ ফখরুল হাসান চৌধুরী জানান, বরযাত্রী ট্রলারটি বিদ্যুতায়িত হয়ে একজন নিহত ও বিশ জনের মতো আহত হয়ে মদন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে নয় জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
পল্লী বিদ্যুত মদন জোনাল অফিসের ডিজিএম মাহবুব আলী জানান, দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে অত্র বিভাগের এজিএম কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তবে বিদ্যুতের ছেড়া তারে এ দূর্ঘটানা ঘটেছে কিনা তা নিশ্চত করে বলা যাচ্ছেনা।
ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান, বিদ্যুুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে একজন বরযাত্রী নিহত এবং বহুলোক আহত হওয়ার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যাচ্ছি। পরিবারের লোকজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহত আলমামুনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালী উল হাসান বলেন, দূর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্রই হাসপাতালে রোগীদের দেখতে যাই ও তাদের সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই এবং তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এলাকায় যাচ্ছি।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।