নাটোর-পাবনা মহাসড়কে বাস-লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৩

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কদিমচিলানে বাস-লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিন জন সহ ১৩ জন নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই জন শিশু,৫জন পুরুষ ও ৬জন নারী। নিহতের সংখ্যা আরোও বাড়তে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শনিবার বিকেলে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে লালপুর উপজেলার কদিমচিলান কিলিক মোড় এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ও নাটোর থেকে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বনপাড়া পাটোয়ারী ক্লিনিক ও আমেনা হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর পরই জেলা ও পুলিশের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সাইদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। অপর দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোহম্মদ শহিদকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট আরোও একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিএম শামসুন নুর, বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সৈকত হাসান ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাটোর-পাবনা মহাসড়কে লালপুর উপজেলার কদিমচিলান কিলিক মোড় এলাকায় পাবনা থেকে বগুড়া গামী চ্যালেঞ্জার বাস ও পাবনাগামী লেগুনার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৩ জন নিহত এবং অন্তঃত ১৫ জন আহত হয়। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পড়ে। আহতরা বাস যাত্রী। পুলিশ জানায় নিহতরা সবাই লেগুনার যাত্রী। খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ও নাটোর থেকে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বনপাড়া পাটোয়ারী ক্লিনিক ও আমেনা হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে ২ জনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরোও বাড়তে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। । নিহতদের মধ্যে দশ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন একই পরিবারের পাবনার মুলাডুলির মন্টু বিশ্বাসের ছেলে প্রত্যয় বিশ্বাস, মেয়ে স্বপ্না বিশ্বাস ও স্ত্রী আদুরী বিশ্বাস, লেগুনার চালক নীলফামারীর আব্দুর রহিম, লেগুনার যাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রামের নারায়ণপুর গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী রজুফা বেগম ও একই গ্রামের রুপচাঁদের স্ত্রী শেফালী বেগম, বড়াইগ্রামের জামাইদঘার লজেনা বেগম, পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী এলাকার আব্দুস সোবহান, টাঙ্গাইলের গোপালপুরের রোকন উদ্দিন ও রাজশাহীর চারঘাটের মীরচামারী কামারী গ্রামের শাপলা খাতুন । নিহত ও আহত অন্যান্যদের পরিচয় এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ।
জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন জানান,এ ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সাইদুজ্জামানকে প্রধান করে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমানকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে নিহতদের ১০ হাজার ও আহতদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।